কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, এজেসি বোস রোড (হেস্টিংস রোড থেকে ক্যাথিড্রাল রোড পর্যন্ত), কুইন্সওয়ে, ক্যাথিড্রাল রোড, লাভার্স লেন, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ের মতো ময়দান সংলগ্ন একাধিক রাস্তাকে ‘নো-পার্কিং’ এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভোর থেকেই ময়দান হয়ে চলা সব ট্রাম রুট বন্ধ থাকবে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টায় রাজ্যের প্রত্যন্ত জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেডের অভিমুখে রওনা হবেন। মূলত, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কর্মী-সমর্থকরা শিয়ালদহ, মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড, ডোরিনা ক্রসিং হয়ে ব্রিগেডে যাবেন। ফলে বেলেঘাটা মেন রোড, সিআইটি রোড, এজেসি বোস রোড, লেনিন সরণী, এপিসি রোড সংলগ্ন এলাকায় যানজটের আশঙ্কা থাকছেই। পাশাপাশি হাওড়া স্টেশন থেকে আসা শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা ব্রাবোর্ন রোড ধরে মিছিল করে ময়দানে আসবেন। ফলে স্ট্র্যান্ড রোড, এমজি রোড যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
আবার, শনিবার হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরার তাড়া থাকলে, হাতে বাড়তি সময় নিয়ে যাত্রীদের রাস্তায় নামতে হবে। কলকাতা পুলিস শহর সচল রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। কিন্তু কোন রাস্তা কতক্ষণ খোলা থাকবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। ব্রাবোর্ন রোড দিয়ে মিছিল আসার কথা রয়েছে। তাই লালবাজারের পরামর্শ, হাওড়া থেকে ট্রেন ধরতে হলে, শনিবার বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে হাওড়া গেলে বাড়তি সুবিধা মিলবে। তেমনই, শহরের পশ্চিমপ্রান্ত অর্থাৎ বেহালা, ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে বিমানবন্দরে যেতে হলে করুণাময়ী ব্রিজ, আনোয়ার শাহ কানেক্টর হয়ে বাইপাস ধরে গেলে ভালো হয়।
এবার শনিবার কার্যত ছুটির দিনে ব্রিগেড সমাবেশ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি হয়তো পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু দমকলের মতো জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি প্রায় সব বেসরকারি অফিস, আদালত খোলা থাকে শনিবার। ফলে ভোগান্তি একদম এড়ানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে, হাসপাতালে যাওয়ার পথে যানজটে কেউ আটকে পড়লে, পুলিস সাহায্য করবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কেউ রাস্তায় আটকে পড়লে, প্রয়োজনে কলকাতা পুলিসের ‘১০০ ডায়াল’-এ ফোন করলে সাহায্য মিলবে।