উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
জেলার উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় উদ্যানপালন মিশনের আর্থিক সহযোগিতায় এই পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি সংরক্ষণাগার তৈরি করতে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ হবে। জেলায় বর্তমানে যে ১৮টি সংরক্ষণাগার তৈরি করা হচ্ছে সেগুলির মধ্যে চাঁচল-২ ব্লকে ৪টি, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকে ২টি, পুরাতন মালদহ ব্লকে ১টি, গাজোল ব্লকে ১টি ও ইংলিশবাজারে ১০টি বানানো হয়েছে। আরও ১২টি নির্মাণের কাজ বাকি রয়েছে। জেলার পেঁয়াজ চাষিদের আবেদন মেনে ও জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী এই সংরক্ষণাগারগুলি তৈরি করা হয়েছে।
কী কী রয়েছে এই সংরক্ষণাগারগুলিতে? উপরে টিনের চালা রয়েছে। ঘরে যাতে প্রয়োজনীয় বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেজন্য অনেকগুলি জানালা থাকছে। ঘরের মধ্যে বাঁশ দিয়ে তাক তৈরি করার কাজ চলছে। ওই তাকগুলিতেই পেঁয়াজ মুজত করে রাখা থাকবে। এখানে পেঁয়াজ তিনমাস পর্যন্ত রাখা যাবে বলে জানিয়েছে জেলা উদ্যানপালন দপ্তর।
চাষিরা জানিয়েছেন, যখন জমি থেকে পেঁয়াজ তোলা হয়, সেই সময় বাজারে বিক্রি করলে দাম কম পাওয়া যায়।। তাই বর্ষার সময় পর্যন্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগারগুলিতে রাখলে পরবর্তীতে ভালো দাম পাওয়া যাবে। এপ্রিল মাসে জমি থেকে পেঁয়াজ তোলা হয়। ওই সংরক্ষণাগারে আগস্ট মাস অবধি পেঁয়াজ রাখা যাবে।
মালদহ জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের উপ অধিকর্তা কৃষ্ণেদু নন্দন বলেন, মালদহ জেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। তাই এই জেলার পেঁয়াজ চাষিদের জন্য এই সংরক্ষণাগার ভীষণ প্রয়োজন। এর জন্য ইচ্ছুক চাষিরা আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনগুলি আমরা কলকাতায় হেড অফিসে পাঠিয়েছিলাম। অনুমোদন পাওয়া চাষিদের দিয়ে একাজ করানো হচ্ছে। আমরা তাঁদের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছি। সংরক্ষণাগার তৈরির মডেল বলে দেওয়া হয়েছে। এরপর তৈরি সংরক্ষণাগার খতিয়ে দেখে মোট ব্যয়ের অর্ধেক টাকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সংরক্ষণগারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ তাখা যাবে। যাতে আলো-বাতাস বেশি চলাচল করতে পারে সেই মডেল অনুযায়ী ঘরগুলি তৈরি করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমাদের ঘাটতি ফসল। এইভাবে সংরক্ষণ করলে ঘাটতি মেটানো যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
রাজ্যে প্রতিবছর পেঁয়াজেরই যথেষ্ট ফলন হয়। তবে সেই অনুযায়ী পেঁয়াজ তোলার সময় চাষিরা দাম পান না। মালদহ জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। বাজারে পেঁয়াজের যে দাম মেলে তা চাষিদের পরিশ্রমের নিরিখে যথেষ্ট নয়। আবার পেঁয়াজ বেশ কিছুদিন মজুত করে রাখলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই অনেকেই পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করে দেন। সংরক্ষণাগারে হলে তাই চাষিদের খুব সুবিধা হবে। উৎপন্ন পেঁয়াজ মজুত করা যাবে। সেই জন্যই মালদহ জেলায় ৩০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা হচ্ছে। এই ঘরগুলিতে ৩ মাস প্রাকৃতিক উপায়ে আলো ও বাতাস নির্ভর করে ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত করতে পারবেন চাষিরা। এরপর সেই পেঁয়াজ পরবর্তী সময় বিক্রি করলে বেশি দাম মিলবে। পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্য সময়ে এই সংরক্ষণাগারে ধান, আলু, পাটও রাখা যাবে।