কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
গত বছর এপ্রিল মাসে মেদিনীপুরে প্রায় সাতটি পথকুকুরের গায়ে অ্যাসিড ছোঁড়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। এনিয়ে সরব হন পশুপ্রেমীরাও। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। মেদিনীপুরের মির্জাবাজারে অ্যাসিডে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় কুকুর দেখা যায়। এরপর বেশ কয়েকটি কুকুর মারাও যায়। কয়েকটি কুকুরের দীর্ঘদিন পশু হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। ওই ঘটনার পর সেপ্টেম্বর মাসে ফের শহরের পাটনা বাজারে কুকুরের গায়ে অ্যাসিড ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে জেলার পুলিস সুপারকে জানানো হয়।
মেদিনীপুরের পশুপ্রেমী সংগঠনের পক্ষে বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, গত বছর আটটি কুকুরের গায়ে অ্যাসিড ছোঁড়া হয়। তার মধ্যে পাঁচটি কুকুর মারা যায়। বিষও খাওয়ানো হয় বেশ কয়েকটি কুকুরকে। একাধিকবার এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি। কিন্তু, ঘটনায় কারা জড়িত, তাও আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। সেভাবে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
যদিও জেলা পুলিসের কর্তাদের দাবি, এই সব ঘটনার পরপরই পথে নামে পুলিস। সচেতনতার জন্য প্রচার করা হয়। মেদিনীপুর শহরে বাইক র্যা লিও করা হয়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্বজিৎ বলেন, অত্যাচারের ঘটনা মেদিনীপুরে আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে, একথা ঠিক। তবে পুলিস যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এই সাহস আর কেউ পেত না। সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, পথপশুদের উপর কোনওরকম অত্যাচার অথবা নির্যাতন করলে পশুসুরক্ষা আইনের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের হতে পারে। যদি কেউ ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অবলা পশুদের উপর অ্যাসিড, বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে, তবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা জরিমানা ও সর্বনিম্ন ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।