কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
দলীয় সূত্রে খবর, প্রত্যেক বুথ থেকে কম করে ১০০জন কর্মী-সমর্থককে সমাবেশে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাস ও গাড়ি মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ যানবাহন সমাবেশের জন্য বুক করা হয়েছে। গাড়ি নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। অবস্থা বুঝে বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা সভাপতি ব্লক সভাপতিদের গাড়ির ভরসায় বসে না থেকে শুক্রবার থেকেই ট্রেনে করে কর্মী-সমর্থকদের রওনা দিতে বলেন। এদিন দুপুরের পর থেকেই একাধিক স্টেশনে কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত করা শুরু করেন।
অজিতবাবু বলেন, যতটা সম্ভব গাড়ি করা হয়েছে। বহু নেতা শেষ মুহূর্তেও গাড়ি, লরি চাইছেন। কিন্তু আর সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই ট্রেনে কর্মী-সমর্থকদের যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এত লোককে খাওয়ানোর সামর্থ্যও আমাদের নেই। ফলে সকলকে গুড়-রুটি নিজের কাছে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে খিদের জ্বালায় কেউ না ভোগে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রুটির সঙ্গে গুড় খেলে শরীর ভালো থাকে। হজম ক্ষমতা, জ্বর, সর্দি, কাশি বা মাথাব্যথার ক্ষেত্রেও এই খাবার বেশ উপকারি। এই ধরনের সমাবেশে গুড়-রুটির বিকল্প কিছু নেই। বামেদের মধ্যে গুড়-রুটির ট্রাডিশন দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে।
তৃণমূল নেতারা বলেন, ব্রিগেডে জলের ট্যাঙ্ক ছাড়া কোনও খাবারের দোকান থাকছে না। আগুন জ্বেলে রান্নাও করা যাবে না। ফলে, খাওয়া নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, গড়বেতা, চন্দ্রকোণা, শালবনী, গোদাপিয়াশাল, খড়্গপুর, বালিচক, হাউড় স্টেশন থেকে সিংহভাগ কর্মী-সমর্থক ট্রেন ধরবেন। স্থানীয় নেতৃত্বকে ব্রিগেডমুখী যাত্রীদের সবরকম সহযোগিতা করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অজিতবাবু বলেন, ট্রেনেই অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী-সমর্থককে ব্রিগেডে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এতে কম খরচে বেশি লোক যেতে পারবে। সব স্টেশনে এদিন থেকেই শিবির করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্লকগুলিকে আমরা রুটি, গুড় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছি। এদিন অজিতবাবু সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতারাও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সহযোগিতা শিবিরগুলি কী রকম কাজ করছে, তা দেখেন। গড়বেতা স্টেশনে এদিন বিকেলে আরণ্যক এক্সপ্রেসে কর্মীদের তুলতে ব্যস্ত ছিলেন গড়বেতা-১ ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, রাত পর্যন্ত যতগুলি ট্রেন আছে, আমরা ভাগ করে সকলকে ট্রেনে তুলে দিচ্ছি। গুড়-রুটি, মুড়ি-চানাচুর দেওয়া হচ্ছে। সবং, পিংলা, ডেবরার বহু কর্মী-সমর্থক এদিন বালিচক স্টেশনে ভিড় জমান। তৃণমূলকর্মী সীতেশ ধাড়া বলেন, ট্রেনে করেই আমরা সবাই যাচ্ছি। অসুবিধার কিছু নেই।
এদিকে ব্রিগেডের কারণে জেলায় চলা প্রায় ৯০ শতাংশ বাসই গায়েব হতে চলেছে। ফলে শনিবার পথে বেরিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, একটা দিন অসুবিধা হবে। আগে থেকেই সকলের বিষয়টি জানা। সেইমতো প্রস্তুতি সবাই নেবে।