উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা খাদ্যদপ্তরের সদর মহকুমা খাদ্য নিয়ামক প্রণব দে বলেন, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়মের অভিযোগে হবিবপুর এবং পুরাতন মালদহের দুই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরও দুইজনকে আমরা শোকজ নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছি। সেই দু’জনের মধ্যে পুরাতন মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের এক রেশন ডিলার রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সম্প্রতি দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় উপভোক্তারা। এছাড়া প্রত্যেকেরই খাতাপত্রে সুষ্ঠুভাবে হিসাব না রাখার ও খাদ্যদপ্তরের নির্দেশিকা না মেনে চলার অভিযোগ রয়েছে।
আধিকারিকদের বক্তব্য, রেশন ডিলাররা ঠিকমতো রেশন পরিষেবা দিতেন না। এছাড়া স্টক বোর্ড থেকে শুরু করে খাতাপত্রও ঠিকঠাকভাবে মেন্টেন করছিলেন না। গ্রাহকদের সঙ্গে ডিলারদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠে এসেছে। জেলা খাদ্যদপ্তর সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুরের আইহোর রেশন ডিলার মিলনকুমার মোহন্তি এবং পুরাতন মালদহের মুচিয়ার রেশন ডিলার গৌরচন্দ্র সাহাকে সাসপেন্ড করা হয়েছ। এছাড়া আইহো কো অপারেটিভ সোসাইটির রেশন ডিলারকে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে। সম্প্রতি পুরাতন মালদহের পাচগ্রামে রেশনে অনিয়মের অভিযোগে গ্রাহক বিক্ষোভ হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে খাদ্যদপ্তর রেশন ডিলার মান্তুরানি সাহাকেও শোকজ নোটিশ ধরিয়েছে।
অক্টোবর মাসে তৎকালীন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশেষ পরিদর্শন চালানো হয়। তখনই অনিয়ম নজরে আসে। অন্তর্বর্তী তদন্ত করে যে রিপোর্ট আসে তাতেই ওই রেশন দোকানগুলোর কাজে অসংগতি ধরা পড়ে। তার ভিত্তিতেই ওই দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি রেশন দোকানগুলিতেও যাতে স্বচ্ছভাবে কাজ হয় সে বিষয়টি নজরে রেখেছে খাদ্যদপ্তর।
এবিষয়ে মালদহের এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অসিতকুমার সাহা বলেন, খাদ্যদপ্তরের দু’জন রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখানে আমার কিছু করার নেই। কারণ, এটি প্রশাসনিক ব্যাপার। অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমরা ডিলারদের স্বচ্ছভাবে কাজ করতে বলেছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে স্পেশাল ইন্সপেকশন ডে হিসেবে মালদহের রেশন দোকান গুলিতে অভিযান চালিয়েছিলেন তৎকালীন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। জেলাশাসক স্বয়ং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামেন। একই দিনে একই সময় এক ঝাঁক আধিকারিক অভিযানে নেমে জেলার দু’টি পুর এলাকা সহ ১৫টি ব্লকের ৭৫০ টি রেশন দোকানে অভিযান চালান। তাঁরা রেশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে বেশকিছু দোকানে গরমিলের ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। সেই অভিযানে পর জেলা খাদ্যদপ্তরের কর্তাদের ডিলারদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কৌশিকবাবু। তারই ভিত্তিতে খাদ্যদপ্তর ওই রেশন ডিলারদের সাসপেন্ড করে।