বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিজেপি’র সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, আমাদের দল অনিয়মকে কখনই প্রশ্রয় দেয় না। কোথাও অনিয়ম হলে রোখার চেষ্টা করে। তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে এসে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তাদের পূর্ববর্তী কাজের অনিয়ম আড়াল করছে। আমরা যেসব গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছি সেখানকার কাজকর্ম নিয়ে কোনও অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। মাঝেমধ্যে তৃণমূলের লোকজন এসে কাজ করতে দিচ্ছে না। তারা ভিত্তিহীন সমস্ত অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামছে। আমরা তৃণমূলের এমন বেআইনি আন্দোলনের বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলনে নামব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, বিজেপি’র ওপর থেকে নিচুতলার কর্মীরা সমস্ত স্তরে অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত আছে। মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে নিজেদের লোকদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই তারা ব্যস্ত থাকে। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে জিতিয়ে এখন বুঝতে পারছে তারা প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে এখনও কতটা অদক্ষ। তবে আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। কোথাও কোনও অনিয়ম হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। অনিয়ম সামনে এলেই আন্দোলন হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট ৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান আছে। এগুলির মধ্যে বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্প্রতি তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি পরিচালিত একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত সাধারণ বাসিন্দাদের ন্যূনতম পরিষেবা দিতে পারছে না। শুধু তাই নয়, গ্রামের লোকেদের ১০০ দিনের কাজ দিতে পারছে না তারা। মারা গিয়েছে এমন লোকের নাম মাস্টার রোলে তুলে ১০০ দিনের হাজিরা তারা তুলে নিচ্ছে। গত কয়েকমাস থেকেই ওসব গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে তৃণমূল সরব হয়েছে। বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল তালা ঝুলিয়ে সম্প্রতি বিক্ষোভ দেখায়। বিভিন্ন কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া পুরোটাই অবৈধ অভিযোগ তুলে তৃণমূল সেক্ষেত্রে সরব হয়েছিল। তাদের আন্দোলনে কাজকর্ম লাটে উঠেছিল। তৃণমূলের দাবি, বাধ্য হয়ে বিজেপি টেন্ডারের কাজ তাদের এবং বামেদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। এরপর ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের মাস্টার রোলে মৃত ব্যক্তির নাম রেখে সেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কর্মীরা সরব হন। যদিও ওই অভিযোগ পেয়ে জেলা বিজেপি’র পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি পাঠানো হয়। ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়েও তৃণমূল বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। এদিকে কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতে টেন্ডারের অনিয়ম নিয়ে তৃণমূল সরব হয়েছিল। এনিয়ে বিডিও’র কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিডিও ঘটনার তদন্তে নেমে টেন্ডার বাতিল করেন। যদিও বিজেপি’র দাবি ছিল প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। এরইমধ্যে বালুরঘাট ব্লকের গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বার বার বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন উঠছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে।