বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে এবার লোকসভা ভোটে মাদারিহাটে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ককে আরও জোর ধাক্কা দিতে চায় শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব। সেজন্য প্রতিটি চা বাগানে এখন থেকেই তারা বুথওয়ারি ঘুঁটি সাজানোর কাজ শুরু করেছে। আর এই ধাক্কা হিসাবে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল লোকসভায় ২৫ হাজার ভোটের লিড নেওয়ার টার্গেট বেঁধে দিয়েছে ব্লক নেতৃত্বকে। পাশাপাশি মোর্চার তাবড় তাবড় নেতা-কর্মীকে দলে ঠাঁই দিয়ে মাদারিহাটে মোর্চার কোমর ভেঙে দিয়েছে শাসক দল। সেজন্য বর্তমানে মাদারিহাটে মোর্চা কার্যত নিশ্চিহ্ন বলা যায়। এসবেরই নিট ফল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপি’র লিড ছিল ২২ হাজার ৩৮ ভোটের, সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল বিজেপিকে পিছনে ফেলে লিড নিয়েছিল ১৫ হাজারের।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, ডুয়ার্সে মোর্চার প্রভাব নিশ্চিহ্ন। মোর্চা সমর্থকরা এখন আমাদের দলে। মাদারিহাটের প্রতিটি চা বাগানে দলের চা শ্রমিক সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কও আমরা মেরামত করে ফেলেছি। দল যার সুফল পেয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটে। এবার লোকসভা ভোটে ওই বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ককে আরও ধাক্কা দিতে হবে। এজন্য ব্লক নেতৃত্বকে ২৫ হাজার ভোটের লিড রাখার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মাদারিহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি মান্না জৈন বলেন, দলের জেলা নেতৃত্বের টার্গেটকে ধরেই ব্লকের চা বাগানগুলি ধরে ধরে প্রতিদিন দলীয় ঘরোয়া বৈঠক করা হচ্ছে। ঘরোয়া বৈঠকগুলিতে ব্লকের অচল চা বাগানগুলি খুলে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগের কথাও প্রচার করা হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক মনোজবাবু বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের তো ভোটই করতে দেয়নি শাসক দল। লোকসভা ভোট কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের মতো হবে না। লোকসভা ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। আর মোর্চার নেতারা তৃণমূলে গেলেও ব্লকে মোর্চার আপামর সাধারণ কর্মী সমর্থকরা এখনও আমাদের সঙ্গেই আছেন। কাজেই পঞ্চায়েত ভোটের লিড দিয়ে বিজেপিকে দমানো যাবে না।
মাদারিহাট বিধানসভা এলাকায় পড়েছে ১২টি পঞ্চায়েত এলাকা। তারমধ্যে বিন্নাগুড়ি বাদে বাকি ১১টি পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে। মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনগুলিও তাদের দখলে। এখন দলের হারানো জমি লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবির উদ্ধার করতে পারে কি না সেদিকেই রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে আছে। এদিকে লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপি’র প্রার্থী হিসাবে কুমারগ্রামে আরএসপি থেকে আসা প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ ওঁরাও, দলের চা শ্রমিক সংঠনের নেতা জন বারলার নামের সঙ্গে মনোজ টিগ্গার নামও শোনা যাচ্ছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব এনিয়ে কিছু জানাতে রাজি হয়নি