কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
পুলিস গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে ওই রাতে ফাঁসিরঘাট সংলগ্ন এলাকায় দুই দুষ্কৃতী জড়ো হয়। এরপরই কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের নেতৃত্বে পুলিস অভিযানে নামে। নবিউল ইসলাম ও রিজায়ুল হক নামে দুই দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। নবিউলের বাড়ি ছোট আঠারোকোঠাতে ও রিজায়ুলের বাড়ি পুন্ডিবাড়ির কামিনীরঘাট এলাকায়। নবিউলের কাছে ম্যাগজিন সহ একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি রিভলবার ও রিজাউলের কাছে ম্যাগাজিন সহ একটি সেভেন এমএম পিস্তল পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, সবগুলিই দেশি বন্দুক। এগুলি বিক্রির জন্য নাকি এলাকায় কোনও অপরাধ করতে তারা জড়ো হয়েছিল তা পুলিস জানার চেষ্টা করছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটার বিভিন্ন জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। খোলা অস্ত্র নিয়ে কেউ ঘোরাফেরা করছে কিনা পুলিস অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বিভিন্ন এলাকায় এব্যাপারে পুলিসের ‘সোর্সকে’ আরও সক্রিয় করা হচ্ছে। তবে দিনহাটাতে বোমা তৈরির বারুদ মজুত করা হয়েছে বলে পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে। পুলিস এই তথ্য যাচাই করে দেখছে। এব্যাপারে পুলিস দ্রুত অভিযানে নামছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকাকে বেআইনি অস্ত্রমুক্ত করাটাই পুলিসের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এব্যাপারে থানাগুলিকে পুলিস সুপার নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গত বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছিল। এগুলির মধ্যে একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্রও ছিল। এমনকী কার্বাইন জাতীয় অস্ত্রও পুলিস দিনহাটা থেকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু তারপরেও দিনহাটাতে একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সেকারণে এখনও বাজেয়াপ্ত না হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য পুলিস ব্যাপক তৎপর হয়েছে।
অন্যদিকে কোচবিহার শহর ও সংলগ্ন এলাকাকে দুষ্কৃতীমুক্ত করতে পুলিস ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। এদিন রাতে পুলিস শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জুয়া ও বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকী সম্প্রতি পুলিস একজন তৃণমূল নেতার গাড়িকেও বেওয়ারিশ হিসাবে থানাতে বাজেয়াপ্ত করেছে। কোচবিহার শহরে রাতে সাইকেলে টহলদারি করার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কোথায় দোকান খোলা থাকছে কিনা, কোথাও উদ্দেশ্যহীনভাবে কেউ ঘোরাঘুরি করছে কিনা সেব্যাপারেও পুলিস নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিসের এই ভূমিকায় কিছুটা হলেও বাসিন্দারা স্বস্তি পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই এনিয়ে শহরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অপরাধদমনের পাশাপাশি সামাজিক কিছু কাজকর্মের মাধ্যমে জনসংযোগ বৃদ্ধির ব্যাপারেও জেলার পুলিস সুপার থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিসের দাবি, বিভিন্ন থানা এলাকায় কমিউনিটি পুলিসিংয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বাসিন্দাদের মতে, সম্প্রতি একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনার জেরে কোচবিহার জেলার মুখ পুড়েছে। ব্যবসায়ীরাও এনিয়ে আতঙ্কিত। পুলিসের বিরুদ্ধে বার বার নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছিল। পুলিসের একাংশের প্রতি বাসিন্দাদের আস্থা ক্রমশ কমছিল। এবার পুলিসের কঠোর ভূমিকায় কতটা কাজ হয় সেদিকেও বাসিন্দাদের নজর রয়েছে।