শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ প্রজাতির এই ভেড়া সুন্দরবন এলাকায় দেখা যায়। এছাড়া আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। সাধারণ ভেড়ার থেকে গাড়োল অনেকটাই আলাদা। এর মাংস সুস্বাদু। সাধারণ ভেড়ার থেকে অনেকটা ছোট হয়। খুব তাড়াতাড়ি পরিণত হয়ে ওঠে। লোম থেকে কার্পেট, জ্যাকেট তৈরি হয়। এছাড়া চামড়া দিয়ে ব্যাগ তৈরি হয়। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে চাষে সফল হলে সারা রাজ্যেই এই ভেড়া চাষের উদ্যোগ নেওয়া হবে। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা তা চাষ করে স্বনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারবেন। ইতিমধ্যে ডিম উৎপাদনে আমরা ভালো জায়গায় চলে এসেছি। এক বছরের মধ্যে আশা করছি ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হতে পারব। মাংস এবং ডিমের ঘাটতি মেটাতে প্রচুর সংখ্যক হাঁস, মুরগি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল বিলিও হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা গাড়োল চাষের দিকেও এগব।
আধিকারিকরা বলেন, সাধারণ ভেড়ার মাংস অনেকে খেতে চান না। কিন্তু গাড়োল সুস্বাদু। ফ্যাটও কম থাকে। সুন্দরবন এলাকায় অনেকেই এই ভেড়ার চাষ করে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন। গাড়োলের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বেশি। সহজে মারা যায় না। এক বছরের মধ্যেই এই ভেড়া অনেকটাই বেড়ে ওঠে। প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরাজ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংসের চাহিদা বেশি রয়েছে। এই মাংস সুস্বাদু। ১০০দিনের কাজ প্রকল্পে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেক গ্রামেই ব্ল্যাক বেঙ্গল চাষ হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বিভিন্ন জায়গায় খামার তৈরি হচ্ছে। ছাগলের পাশাপাশি বিশেষ প্রজাতির এই ধরনের ভেড়া চাষ করেও বহু পরিবারের আয় বাড়তে পারে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। তবে সব পরিবেশে আদৌও এই ধরনের ভেড়া বেড়ে উঠতে পারবে কিনা সেটা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, কিছু প্রাণী নির্দিষ্ট এলাকাতেই বেড়ে ওঠে। দেশীয় প্রজাতির এই ভেড়া সুন্দরবন এলাকাতেই চাষ হয়। সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু অন্যান্য জেলায় আদৌও এই চাষ করা সম্ভব কিনা সেটা আধিকারিকরা দেখতে চাইছেন। দপ্তরের অনেকেই মনে করছেন, সব জেলায় না হলেও মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে এই চাষ সম্ভব হবে। ভিন রাজ্যে অন্য পরিবেশে বেড়ে ওঠা কড়কনাথ মুরগি এরাজ্যে চাষ হচ্ছে। তাই উদ্যোগ নিলেও গাড়োল চাষও সম্ভব বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। কড়কনাথ চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। এই মুরগির মাংসের দাম অনেক বেশি। প্রতি পিস ডিমও ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিক তারাশঙ্কর পান বলেন, আমরা গাড়োল সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।