শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্য সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরা ১৩ বছরের পুরনো বেতনক্রমে বেতন পাচ্ছেন। কারণ, শেষবার বেতন সংশোধন হয়েছিল ২০০৬ সালে। অতীতে দেখা গিয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে প্রায় এক সময় আলাদা বেতন কমিটি গঠনের মাধ্যমে তাঁদের বেতন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হত। কিন্তু এই সরকার কমিটি গঠন করেনি এবং পে কমিশনেও কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে ২০০৬ সালের বেতন দিয়ে ২০১৯ সালের বাজারদরের মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে কর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
বাম আমলে এই কর্মচারীদের জন্য কমিটি গঠন করা নিয়েও অনেক বিলম্ব করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাতেও বঞ্চিত হতে হয়েছে তাঁদের। আর পাঁচটা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতো ডিএ এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হলেও, কেন এই পে কমিশনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মচারীরা বুঝতে পারছেন না তাঁদের ভাগ্যে কী আসতে চলেছে। পে কমিটি গঠন হয়নি। ষষ্ঠ পে কমিশনে তাঁরা ঢুকতে পারবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়। তবে এতদিনের বঞ্চনা এবার কেটে যাক, সেটাই চাইছেন কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, অন্যান্য কর্মীদের মতো সংশোধিত বেতনক্রম অনুযায়ী মোট বেতনের উপর ন্যূনতম ৭০০০ টাকা করে বাড়তে পারে।
এ নিয়ে কী বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, স্কুল-কলেজের কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের কেন এই কমিশনের আওতায় রাখা হবে না? আমরা চাই পে কমিশনের ফর্মুলা মেনেই আমাদের বেতন সংশোধন করা হোক। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গেই ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে নতুন বেতন চালু করার দাবি জানাচ্ছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী শেখ আবুল হোসেনের কথায়, পে কমিটি হয়নি। পে কমিশনে আমরা আছি কি না, তাও স্পষ্ট নয়। পুরো ব্যাপার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ফিটমেন্ট কমিটি করে বেতন সংশোধন করার দাবি সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে। সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সহ সভাপতি তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী সীতারাম মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের ব্যাপারে কিছু ঘোষণা হয়নি ঠিকই। তবে আমরা অপেক্ষা করছি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক আছে। সেখানেই নিশ্চয় স্পষ্ট হয়ে যাবে।