শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিনের ওই কর্মসূচিতেই রাজ্য সভাপতির সামনেই পুরুলিয়ার দলের এমপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন একাধিক বিজেপি কর্মী। পুরুলিয়ার বিজেপি এমপিকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন না বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, জয়পুরে পুলিসের গুলিতে মৃত বিজেপির কর্মীর স্ত্রী দিলীপবাবুকে প্রণাম করে তাঁকে সমস্যা জানাতে গেলেও দিলীপবাবু তাঁর কথায় শোনেননি বলে অভিযোগ।
এদিন সকালে পুরুলিয়ার জয়পুরে চা চক্রে দিলীপবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, পুরুলিয়ার সংসদ সদস্য জ্যোতির্ময় সিং মাহাত সহ দলের অন্য নেতারা। এদিনের ওই কর্মসূচির শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, সোমবার রাতে বীরভূমের বিজেপির নেতাকে কংগ্রেস নেতা চিদম্বরমের মতো করে গ্রেপ্তার করে হয়েছে। বিজেপি নেতাকে কি সমাজবিরোধী নাকি যে বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে গ্রেপ্তার করতে হবে? জামা পর্যন্ত পরতে দেওয়া হয়নি। ৬ মাস আগে কোন ক্লাবে বোমা পাওয়া গিয়েছিল তাতে নেতাদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদ করছে। সরকার সচেতন না হলে আগামী সাতদিন জেলার সব রাস্তা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, এদিনের চা চক্রের দলের একাধিক পদাধিকারী বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে শুরু করায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি চা চক্রের মাঝেই বলেন, এদিন আমি দলের কার্যকর্তাদের কথা শুনতে এখানে আসিনি। দলের কার্যকর্তারা আলাদা জায়গায় সেসব বলবেন। এদিন সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা শুনতে এসেছি।
এদিনের সভায় মুকুন্দপুর গ্রামের বিজেপি কর্মী রামকিঙ্কর কুমার বলেন, আমি একা ওই এলাকায় বিজেপি করতাম। লড়াই করে বিজেপি এমপিকে জিতিয়েছি। আমাদের এমপিকে সমস্যার কথা জানানোর জন্য ফোন করলে বেশির ভাগ সময়ই ধরেন না। আবার ধরলেও সব না শুনে তিনি ফোন কেটে দেন। আমাদের সমস্যাগুলি সমাধান করা কি এমপির কর্তব্য নয়?
পরে রামকিঙ্করবাবু আরও বলেন, এলাকায় অনেকেই এমপিকে ফোন করেন। বিপদে আপদে তাঁকে ফোন করতে গেলে তিনি ফোন ধরেন না। অন্য লোককে ফোনটা ধরিয়ে দেন। বিজেপি কর্মী হিসেবে এসব কথা আমাদের শুনতে হয়। রাজ্য সভাপতিকে নিজেদের সমস্যার কথা জানালাম। পুরুলিয়ার সংসদ সদস্যের ফোন না ধরার অভিযোগ সম্পর্কে দিলীপবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা ঠিক নয়। এমপি সব ফোন ধরেন।
অন্যদিকে, এদিন চা চক্রের একেবারে শেষে দিলীপবাবুর কাছে গিয়ে ঘাঘরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুলিসের গুলিতে মৃত বিজেপি কর্মী নিরঞ্জন গোপের স্ত্রী বৈশাখী গোপ দিলীপবাবুকে প্রণাম করেন। তারপর নিজের সমস্যার কথা জানাতে গেলে দিলীপবাবু তাঁর কোনও কথা শুনতে চাননি বলে মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর অভিযোগ।
পরে বৈশাখীদেবী বলেন, স্বামী বিজেপির হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিসের গুলিতে মৃত্যু বরণ করেছেন। বিজেপি দলের পক্ষ থেকে আমাকে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে। তবে ওই টাকা শ্বশুরবাড়ির একাধিকজন ভাগ নিতে চাইছেন। ওই টাকা ভাগ দিলে আমি এক ছেলে ও এক মেয়েকে কী করে মানুষ করব? তিনি আরও বলেন, বাড়িটিও ভাঙা। লাইট পর্যন্ত নেই। এই সব কথাই দিলীপদাকে বলার ছিল। কিন্তু, ওখানে দিলীপদাকে প্রমাণ করার পরই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বৈশাখীদেবীর বাবা সর্বেশ্বর গোপ বলেন, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মেয়েটা কথাটাও বলতে পারল না।
এবিষয়ে ওই গ্রামের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ মণ্ডল বলেন, বৈশাখীদেবীর অভিযোগ ঠিক নয়। রাজ্য সভাপতি সময় কম থাকায় হয়তো সমস্যাটা শুনতে পারেননি। তবে দল ওই পরিবারের সঙ্গে সবসময় রয়েছে।