পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে ভিড় উপচে পড়ে সিমলায় স্বামীজির জন্মভিটেয়। সেখানে হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘ লাইন দিয়ে এই মহাত্মার জন্মভিটে দর্শন করেন। বহু মানুষ প্রবেশপথের মুখে স্বামীজির পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ জানান, এদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় স্বামীজির জন্মভিটেয়। সারাদিন ধরে চলে নানা অনুষ্ঠান। বহু মানুষের সমাগমকে ঘিরে ছিল কলকাতা পুলিসের কড়া নিরাপত্তা। প্রবেশপথের মুখে বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টরও। এদিন এখানে স্বামীজির মূর্তিতে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, মন্ত্রী শশি পাঁজা, সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও নেতা নেত্রীরা এখানে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। এদিন সকালে স্বামীজির বাড়ি থেকে একটি শোভাযাত্রা উওর কলকাতার বিভিন্ন স্থান পরিক্রমা করে। সেখানে ছিল বিভিন্ন স্কুলেরছাত্র ছাত্রীরাও।
এদিন বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর, আদ্যাপীঠ, গদাধর আশ্রম, বলরাম মন্দির, কাশীশ্বর মিত্রের বাড়ি, ঝামাপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘ, শ্যামপুকুর বাটি, কাশীপুর উদ্যানবাটি, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম (কাচের মন্দির), বরানগর মঠ, শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ, ঠাকুর মা স্বামীজি ধ্যান চক্র, করুণাময়ী কালীমন্দির সহ বিভিন্ন স্থানে দিনটি গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয়। স্বামীজির পদধূলিধন্য আলমবাজার মঠেও সকাল থেকে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে মঠ চত্বর থেকে বার হয় বিশাল শোভাযাত্রা। সেখানে ছিল স্বামীজির বিশাল প্রতিকৃতি। মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সারদাত্মানন্দ জানান, এই প্রাচীন মঠ বাড়ির সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এই কাজে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য বহু অর্থ ব্যয় হবে। এজন্য তিনি সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে স্বামীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান বিচারক ছাড়াও আইনজীবীরা। সেখানে ফুল, মালা দিয়ে সাজানো হয় স্বামীজির আবক্ষ মূর্তিকে। এদিন বিকেলে হরিশ পার্কে বিবেক মেলার সূচনা করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিবেক সংস্থার আহ্বায়ক কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বামী অমলাত্মানন্দ সহ বিশিষ্টরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলার পাশাপাশি অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৬৮ নং ওয়ার্ডেও দিনটি যুব দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কাউন্সিলার সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ভারতীয় তফসিলি/আদিবাসী পরিষদও দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে।