কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
অবশ্য পুরসভা একাংশ সূত্রের দাবি, মেয়র শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়র ঘনিষ্ঠরা সকলেই এদিনের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। উল্টোদিকে মেয়র ঘনিষ্ঠ নন, এরকম কাউন্সিলাররাই এদিনের অধিবেশন ‘বয়কট’ করেছিলেন। যদিও অনুপস্থিত অনেক কাউন্সিলারেরই দাবি, তাঁরা শহরের বাইরে রয়েছেন বা অসুস্থ রয়েছেন— তাই তাঁরা এদিন আসতে পারেননি। যদিও দলীয় সূত্রের দাবি, এদিনই বেশ কয়েকজন অনুপস্থিত কাউন্সিলার বর্তমান মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে কার্যত ‘অনাস্থা’ দেখিয়ে গোপনে একটি বৈঠকও করেছেন। যদিও তাঁরা কেউ এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি।
তবে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে জানিয়েছেন, মেয়র যেভাবে কাজ করছেন তাতে তাঁরা বিরক্ত। তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন কি না, তাই স্পষ্ট হচ্ছে না। দলে বা পুরসভায় তাঁর ভূমিকা কী? বিধাননগর পুরসভার রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বহু কাজই আটকে দেওয়া হচ্ছে। কাউন্সিলাররা কাজ করতে চাইলেও, পারছেন না। এভাবে চলা সম্ভব নয়। তাপসববাবু বলেন, এসব কারণেই তিনি এদিন বৈঠকে যাননি। এটা সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বাকি কাউন্সিলাররা কেন বৈঠকে আসেননি, তা তিনি বলতে পারবেন না। তবে দলীয় সূত্রের দাবি, অধিকাংশ কাউন্সিলারই মেয়রের বিরুদ্ধে ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করে এদিনের বৈঠকে আসেননি। তাপসবাবু আরও জানিয়েছেন, দল তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু, লোকসভা ভোটে রাজারহাট-নিউটাউনে উনি কোনও দায়িত্ব পালন করেননি। উল্টে বারবারই দল এমনকী নেত্রী বিরোধী কথাবার্তা বলেছেন। ওনার রাজনৈতিক পরিচয় এবার দলের কাছে স্পষ্ট করার সময় এসে গিয়েছে। তাহলে কী মেয়রের বিরুদ্ধে তাঁরা আনাস্থা ডাকবেন? ডেপুটি মেয়র বলেন, এবিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— সেবিষয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে, সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ডেপুটি মেয়রের বিষোদ্গারনিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি মেয়র। তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এদিনের বৈঠকে যেতে পারবেন না, আগেই জানিয়েছিলেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে বিধায়ক, মন্ত্রী বা দলের কোনও নেতা কিছু বললে তিনি তার উত্তর দিতেন। কিন্তু অন্য দল থেকে আসা একজনের মন্তব্য নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না। উল্লেখ্য, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় সিপিএম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন। এদিকে, পুরসভা সূত্রের দাবি, মাসিক অধিবেশনে ৪১ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ১৪ জন উপস্থিত থাকলেই কোরাম গঠন করতে পারবেন চেয়ারপার্সন। সেখানে এদিন ১৬ জন কাউন্সিলার উপস্থিত থাকায় অনায়াসেই মাসিক অধিবেশন সম্পূর্ণ হয়।