বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
হুমায়ুন কবির বলেন, ওই সমবায় সমিতির অধীনস্থ রেশন দোকানকে ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ সম্প্রতি সব মহলে দায়ের হয়েছিল। সেকারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে। দল বা প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক তাহলেই সত্য প্রকাশ্যে আসবে। ভাদো কৃষি সমবায় সমিতির সম্পাদক মহম্মদ ইউনুস আলি বলেন, জেলা পরিষদ সদস্যের কিছু আর্থিক দাবি-দাওয়া ছিল। সেসব আমরা পূরণ করতে পারিনি বলেই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমরা থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছি।
মালদহ জেলা সমবায় দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বিষয়টি খাদ্যদপ্তরের অধীনস্থ। ফলে তারাই তদন্ত করবে। জেলা খাদ্য নিয়ামক প্রণব দে বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুর বলেন, ওইখানে ঠিক কি হয়েছে দলীয় স্তরে খোঁজ নেওয়া হবে। কোনও ক্ষেত্রেই অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। সবার আগে বাসিন্দাদের রেশন পাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আমি কথা বলব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল মহকুমার রতুয়া-১ ব্লকের ভাদোতে দু’টি রেশন দোকান ভাদো কৃষি সমবায় সমিতির অধীনে আছে। ওই সমবায় সমিতির পরিচালন ব্যবস্থা তৃণমূলের স্থানীয় একটি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি এই সমবায় সমিতিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রশাসন এবং খাদ্য দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর নেতা তথা স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য হুমায়ুন কবির। তারপর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। অভিযোগ, এদিন সাপ্তাহিক রেশন দেওয়ার জন্য ওই দোকান খুলতেই হুমায়ুন কবির দলবল নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে চলে যান। দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিস পৌঁছে গণবণ্টন ব্যবস্থা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। আর এর জেরেই স্থানীয় বাসিন্দা মহলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা ঘটায় শাসকদলও অস্বস্তিতে পড়েছে।