কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ব্লক সদর পাকুয়ার নিকাশি সমস্যা নিয়ে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পুরানো। সেখানে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বাসিন্দারা বহু আন্দোলন করেছেন। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। এবার সেকাজ শুরু হতেই বাসিন্দারা স্বস্তি পেয়েছেন। এখন বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় রাজ্য সড়কের ধারে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। পাশে ফাঁকা জায়গায় বালি, পাথর ও নির্মাণ সামগ্রী মজুত করে রাখা হয়েছে।
পাকুয়ার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃষ্টি হলেই নালাগোলা সদর এলাকার অনেক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকে। বাস স্ট্যান্ডে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্য কোনও দিক দিয়েই জল বের হতে পারে না। বাস স্ট্যান্ডে কাদা হয়ে থাকে। যাত্রীরা বাসে উঠতে সমস্যায় পড়েন। জলকাদা পেরিয়ে পাকুয়া মার্কেটে অনেকে আসতে চান না। অনেক জায়গায় ইট পেতে দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এখন বড়ো ড্রেন হচ্ছে। এতে খুব উপকার হবে।
পাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির সীমা মজুমদার ঘোষ বলেন, সকলেরই দাবি ছিল সদরে হাই ড্রেনের ব্যবস্থা করা হোক। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম করে দেব। সেই মতোই আমরা হাইড্রেন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। আইএসজিপি ফান্ড থেকে ১৪ লক্ষ টাকার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে। সদর এলাকার জল ওই ড্রেন দিয়ে গিয়ে পাশের খাড়িতে পড়বে। আর জল জমবে না।
পাকুয়ার বাসিন্দা বামনগোলা ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সরকার বলেন, বৃষ্টি হলে পাকুয়া বাসস্ট্যান্ড অন্য রূপ নেয়। নোংরা জলকাদায় এলাকা ভরে ওঠে। মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা খুবই দরকার। পঞ্চায়েতের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এলাকায় আরও অনেক জায়গায় সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা নেই। সেই দিকেও নজর দিলে ভালো হয়।
ব্লক সদর পাকুয়ায় স্বাভাবিক কারণেই জনবসতি বেশি। হাট, বাজার, বিডিও অফিস সহ নানা সরকারি দপ্তরের অফিস এখানে রয়েছে। বাসিন্দাদের বরাবরের ক্ষোভ, বৃষ্টি হলে বাসস্ট্যান্ড সহ সদর এলাকায় জল জমে যায়। তখন তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এবার হাইড্রেনের কাজ শুরু হওয়ায় সকলে খুব খুশি।