কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সঞ্জয় রাউত, অরিন দাসরা বলে, রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের স্যারকে বদলি করা হয়েছে। তিনি এই স্কুল থেকে বদলি হয়ে গেলে আমরা সবাই সমস্যায় পড়ে যাব। তারই প্রতিবাদে আমরা স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। সেই নির্দেশ বাতিল না করা হলে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চলবে। জেনকিন্স স্কুল অভিভাবক সমিতির মুখপাত্র নেপাল মিত্র বলেন, স্কুলে তিনজন ইংরেজির শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে শঙ্করবাবুকে অন্যত্র বদলির সিদ্ধান্ত মানা যায় না। এতে ছাত্ররা আরও সমস্যায় পড়বে। অবিলম্বে তাঁর জায়গায় অন্য শিক্ষক দেওয়া হোক। অন্যায়ভাবে বদলির সিদ্ধান্ত মানা যায় না। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম রিয়াজ আহমেদ বলেন, ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরেই জেনকিন্স স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তাঁকে বদলি করার নির্দেশ এসেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়টি আমরা উপর মহলে জানিয়েছি। ছাত্র আন্দোলনের জেরে স্কুলের কোনও ক্লাস হয়নি।
গরমের ছুটি শেষ করে এদিন প্রথম স্কুল খুলেছে। এদিকে স্কুলে এসেই শিক্ষকরা দেখেন গেটে সবুজ রঙের ব্যানার ঝুলছে। তাতে লেখা ‘জেনকিন্স অন্যায় মেনে নেয় না, শঙ্করবাবু আমরা আছি’। স্কুলের দেওয়ালেও শিক্ষকের বদলির প্রতিবাদে নানা ধরনের পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এদিন স্কুলের গেট বন্ধ করে পোস্টার নিয়ে ইউনিফর্ম পরে ছাত্ররা দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রিয় শিক্ষকের বদলি আটকানোর জন্য ছাত্রদের এই প্রয়াসকে ঘিরে শহরেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অভিভাবকদের একাংশও স্কুলে চলে আসেন। প্রাক্তন ছাত্ররাও এদিন আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, জেনকিন্স স্কুলের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এই স্কুল থেকে প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যের নানা নজির রয়েছে। স্কুলের নতুন করে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়েছে। সেই সময় ইংরেজির শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ে যাবে। আন্দোলনকারীদের দাবি, জেনকিন্স স্কুলের ঐতিহ্যকেও কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হয়েছে। এটা কোনওভাবেই মানা যায় না। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে। বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার না করলে ফের নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করা হবে। অভিভাবকদের মধ্যেও এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। তাঁদের দাবি, স্কুলের প্রিয় শিক্ষকের প্রতি ছাত্রদের এই আবেগকে কোনওভাবেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। কয়েকদিন আগেও ছাত্ররা এব্যাপারে বিভিন্ন মহলে দরবার করেছিল। তারপরেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।