উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এবিষয়ে জেলা মৎস্য দপ্তরের সহ মৎস্য অধিকর্তা নীলোৎপল কোয়েল বলেন, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মাছ চাষ করছেন। মাছের ঘাটতি পূরণে তাঁদেরও যুক্ত করা হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হেক্টর প্রতি চার টন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। পরে এটি আরও বাড়বে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যদি সঠিকভাবে চাষ করেন তাহলে আমরা ন্যূনতম ওই উৎপাদন আশা করছি। তাতে জেলায় যে ঘাটতি রয়েছে তা অনেকটাই পূরণ হবে। মালদহ জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সরলা মুর্মু বলেন,জেলাজুড়ে প্রচুর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এখন মাছ চাষে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের সরকারি উদ্যোগে মাছ চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে গড়ে দুই হাজার পরিবার বিভিন্ন পুকুর, ডোবায় মাছ চাষ করছেন। সঠিকভাবে মাছ চাষ হলে তাঁদের দিয়ে পাঁচ হাজারের মেট্রিক টনের বেশি মাছের উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক মহিলা গোষ্ঠী সদস্য অর্চনা চৌধুরী বলেন, সরকারি উদ্যোগে মাছের পোনা এবং চুন পেয়েছি। আমরা ১০০ দিনের কাজে খনন করা পুকুরে মাছ চাষ করছি। আগে প্রায় সাত কুইন্টাল মাছ তোলা হয়েছে। আরও কিছু মাছ রয়েছে। সেগুলি বড় হলে বাজারে বিক্রি করব।
জেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়ে জেলায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন মাছের চাহিদা রয়েছে। আর গড় উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৬২ হাজার মেট্রিক টন। সুতরাং জেলায় এখনও কয়েক হাজার মেট্রিক টন মাছের ঘাটতি রয়েছে। জেলা প্রশাসন সম্প্রতি মাছের ঘাটতি পূরণে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে ১০০ দিনের কাজে খনন করা পুকুরগুলিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎসাহ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে। এই প্রকল্পে জেলাজুড়ে ১৫টি ব্লকে ১০০ দিন প্রকল্পে ৮০২টি পুকুর খনন করে মোট ৮০ হেক্টর জলাশয়ে মাছ ছাড়া হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫৯টি স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীকে যুক্ত করা হয়েছে।