কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এদিন মালদ্বীপে পা রাখার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করে সেদেশের বিদেশমন্ত্রক। এ বিষয়ে ট্যুইটারে বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে মালদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মানপ্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফরে তাঁকে রুল অব নিশান ইজুদ্দিন দেওয়া হবে।’ মোদি যে ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতি গ্রহণ করেছেন, দিল্লির মসনদে বসে প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তাঁর মালদ্বীপকে বেছে নেওয়া সেই সিদ্ধান্তেরই অঙ্গ।
মালদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী পা রাখতেই ট্যুইট করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘চিরজীবনের বন্ধুত্ব। মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিদেশমন্ত্রী ইব্রাহিম শাহিদ তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট সোলির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শেষবারের মতো এসেছিলেন মোদি।’ এই সফরে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট মজলিসে ভাষণ দেবেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে সেদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। তাঁর এই সফরে দু’দেশের মধ্যে জল সরবরাহ, নিকাশি ও জলপথে পরিবহণের মতো একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে এদিন ক্রিকেট কূটনীতির আশ্রয় নেন মোদি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সই করা একটি ব্যাট সোলিকে উপহার দেন তিনি। পরে ট্যুইটারে লেখেন, ‘ক্রিকেটের মাধ্যমে যুক্ত। আমার বন্ধু সোলি ক্রিকেটের দারুন ভক্ত। সেকারণেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা ভারতীয় দলের সই করা ব্যাট উপহার দিয়েছিল ওঁকে।’ মানোন্নয়নের জন্য মালদ্বীপের ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত। এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে কাজ করছে। এই দ্বীপরাষ্ট্রে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখছে মন্ত্রক। এর আগে গত মে মাসে মালদ্বীপের ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের জন্য এখানে এসেছিলেন বিসিসিআইয়ের একটি দল।
এছাড়া প্রতিরক্ষাখাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে উপকূলে নজরদারির জন্য রেডার সিস্টেম এবং মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সেস-এর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন উদ্বোধন করবেন মোদি-সোলি। আলাদাভাবে বৈঠক করবেন বিদেশমন্ত্রী শাহিদ এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল গায়ুমের সঙ্গে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট সোলির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মোদি। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করায় ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক তলানিতে ঠিকেছিল। কিন্তু, সোলি দেশের ক্ষমতা দখলের পর তা পুনরুদ্ধার হয়েছে। সেইমতো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে মালদ্বীপ সফরে এসেছেন মোদি।