কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কাঠুয়া গণধর্ষণ এবং হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কাশ্মীর। যাযাবর গোষ্ঠীর একটি আট বছরের বালিকাকে অপহরণ করে কাঠুয়া গ্রামের একটি মন্দিরে আটকে রাখা হয়। ১৭ জানুয়ারি তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরে পাশবিক অত্যাচারের পর নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্রীনগর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মামলার শুনানি জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে শুরু হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলার পর গত ৩ জুন শুনানি শেষ হয়। সঞ্জি রাম সহ সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও একজনকে প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার চূড়ান্ত শুনানির সময় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল আদালত চত্বরে। কমপক্ষে এক হাজার পুলিসকর্মী এবং নিরাপত্তা আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আদালতের রায়ে অখুশি নির্যাতিতার বাবার দাবি, বিচারের জন্য আমরা অনেক দিন অপেক্ষা করেছি। শুধুমাত্র ছ’জন নয়, সঞ্জি রামের ছেলে বিশালও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তারও ফাঁসি হওয়া উচিত। এদের সকলের চরম শাস্তি হওয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যৎতে কেউ আর এই ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। এই সব শয়তানদের হাতে আমার মেয়েকে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল, তা আমি জানি না।
এদিনের আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি। ট্যুইটারে ওমর আবদুল্লা লিখেছেন, আইন মোতাবেক দোষীরা শাস্তি পেয়েছে। আর যে সব রাজনৈতিক নেতা দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল, তাদের নিন্দা করার ভাষা নেই। মেহবুবা লিখেছেন, শাস্তি নিয়ে রাজনীতির খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। একটি আট বছরের বালিকাকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এখন দেখার আইনের ফাঁক গলে দোষীরা যেন ছাড় না পেয়ে যায়।