হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা ওই ১৪ জন কাজের তাগিদে কেরলের মল্লপুরমে গিয়েছিলেন। বন্যাকবলিত সেই জেলার কিঝুরে আটকে পড়ে তাঁরা শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ করেন ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে। দিনমজুর বাপন দাস বলেন, বন্যার জলে আটকে পড়ার পাশাপাশি গোটা তল্লাটে বিদ্যুৎ না থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেয়। কোনও গাড়ি নজরে পড়েনি সেই সময়। গোড়ায় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য না পেয়ে আমরা বাধ্য হয়ে কলকাতায় ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপর স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমাদের উদ্ধার করে তারা একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়। পিকের টিম জানিয়েছে, গোড়ায় অত্যধিক বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে ভয়ঙ্কর অসুবিধা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষমেশ ওই ১৪ জনকে উদ্ধার করে একটি হোটেলে নিয়ে যায় কেরল প্রশাসন। খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থাও করে তারা। উদ্ধার হওয়া দুর্গতরা দ্রুত রাজ্যে ফিরে আসার কথাও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নানা ধরনের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মানুষ অহরহ ফোন করছেন পিকে’র টিমকে। সে সব ব্যাপারে সমাধানের জন্য তারা তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ বা পরামর্শ দিচ্ছে। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক সমস্যায় পড়েও বহু মানুষ ফোন করছে ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে। তারা যে এসব ব্যাপারেও সমাধানে সমান উদ্যোগী, তা কর্ণাটক বা কেরলের বন্যায় আটকে পড়া বাংলার বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধারের ব্যাপারে টিম পিকে ভূমিকা নিয়েছে।