হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
কিছুদিন আগেই সাজা কমানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন ছত্রধর। সেই আবেদন বকেয়া থাকাকালীন রাজ্যের শীর্ষ আদালতই সাজার মেয়াদ কমিয়ে দিল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে হওয়া বিস্ফোরণকাণ্ডের জেরে রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দারা সাংবাদিক সেজে নাটকীয়ভাবে ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ছত্রধরকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিস সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির মাথা হিসেবে তিনি মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে লালগড় আন্দোলন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়। পরবর্তীকালে তিনি দায়ের হওয়া ৩০টি মামলায় জামিন পান। কিন্তু, তিনি যাতে বাইরে যেতে না পারেন, সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ। অর্থাৎ, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা, তাদের সহযোগিতা করা এমনকী তাদের জন্য অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে বেঞ্চ আসামিদের সাজার যৌক্তিকতা বিচার করে উপরোক্ত রায় দিয়েছে। যেখানে আসামি রাজা সরখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের সাজা বেঞ্চ এদিন বাতিল করেছে। উল্লেখ্য, প্রথমোক্ত চারজন জঙ্গলমহলের বাসিন্দা হলেও শেষোক্ত দু’জন কলকাতার বাসিন্দা। আরও এক আসামি রঞ্জিত মুর্মু জেল হেফাজতেই মারা গিয়েছেন।