বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, রাহুলের মৃত্যুর খবর জানার পরই শাহিন নামে এক বান্ধবীকে হোয়াটসঅ্যাপ করেন জিনাত। তাঁকে তিনি লেখেন, রাহুলের মৃত্যুর পর আমার বেঁচে থাকার কী মানে? আমিও মরব। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বন্ধুরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অন্য এক বান্ধবীকে রাত ৩টে ৩৯ এবং ৩টে ৪০ মিনিটে পর পর দু’টি মেসেজ করেন জিনাত। তাতে লেখা— ‘গুড বাই।’ এরপরই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
দু’জনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন আগেই বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল তাঁদের। বছর দুয়েক ধরে জিনাত এবং আলির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। জিনাতের বন্ধুদের কাছ থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, তাঁদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলি এবং জিনাত দেখা করেছেন। ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথা হতো জিনাত ও আলির। জিনাতের এক কাকা বুধবার বিকেলে জানান, কয়েক বছর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়াশোনা বন্ধ করেছিল জিনাত। তবে পড়াশোনা না করলেও জিনাতের হাতের কাজ খুব ভালো ছিল। কয়েকদিন আগেই পার্শ্ববর্তী এলাকা হোসেন শাহ রোডের বাসিন্দা আলি আকবর ওরফে রাহুলের সঙ্গে বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল। দুই পরিবারই বিষয়টি নিয়ে খুবই খুশি ছিল। এরপর ঠিক হয় আগামী আগস্টে ঈদের পরেই বিয়ে হবে।
জিনাতের বন্ধুরা বলেন, গত রবিবার রাতে মোমিনপুর থেকে খিদিরপুর যাওয়ার সময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি বাইক আলির বাইকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবরটা প্রথমে পাননি জিনাত। পরে তাঁর কাছে কেউ ফোন করে জানান। খবরটি সঠিক কি না, তা জানতে জিনাত আকবরের বোনকে ফোন করেন। সেখানে হবু বরের মৃত্যুর খবরে অবসাদে চলে যান ওই তরুণী। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ১১ বছরের ভাইয়ের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন জিনাত। এদিন সকালে ভাই ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায়, বিছানার উপর সিলিং পাখা থেকে দিদির দেহ ঝুলছে। তখনই ওই কিশোরের চিৎকারে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন জিনাতের মা। খবর পেয়ে চলে আসেন প্রতিবেশীরাও। খবর যায় একবালপুর থানায়। পুলিস এসে দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় এসএসকেএম হাসপাতালে। পুলিস জানিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে আগে ঢোকানো হয় আলি আকবরের দেহ। তার কিছুক্ষণ পরই আসে জিনাতের দেহ। দু’জনের দেহ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদের পরিজনরা।