বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পাইসজেটের কিউ ৪০০ উড়ান মঙ্গলবার সকালে শিলচরের উদ্দেশে ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা উড়তে পারেনি। মঙ্গলবার রাতে ওই টেকনিশিয়ান ৩২ নম্বর বে’তে ওই বিমানের ডানদিকের চাকার তলার অংশে মেরামতির কাজ করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই কাজ চলাকালীন বিমানের চাকা গোটানোর যে হাইড্রলিক সাকশন সিস্টেম রয়েছে, তা আচমকা চালু হয়ে যায়। ফলে সেই সাকশনের বাতাসের টানে রোহিতের মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত হাইড্রলিক সিস্টেমের মধ্যে ঢুকে যায়। হাইড্রলিক সিস্টেম চালু থাকায় চাকার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। চাকা উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। সেখানে আটকানো অবস্থায় ছটফট করতে করতে দমবন্ধ হয়ে নিস্তেজ হয়ে কার্যত ঝুলতে থাকেন ওই টেকনিশিয়ান। সহকর্মীদের যখন নজরে আসে, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। হাইড্রলিক সাকশনটি বন্ধ করে ওই কর্মীকে উদ্ধার করেন সহকর্মীরা। তাঁরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। বিমানবন্দরের অধিকর্তা বলেন, কীভাবে মেশিনটি চালু হয়ে গেল, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, স্পাইসজেটের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রোহিতের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিমানের ডানদিকের চাকার তলায় কাজ করার সময় হাইড্রলিক সাকশনের মধ্যে কোনওভাবে তিনি আটকে যান। দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে তাঁর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যায়। পরে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিস এদিন ময়নাতদন্তের পর রোহিতের দেহ তাঁর পরিজনদের হাতে তুলে দেয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩২ নম্বর বে’তে ওই বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের কাজ চলাকালীন পর্যাপ্ত আলো ছিল। এছাড়াও সহকর্মীরা ছিলেন। তাঁদের নজর এড়িয়ে এতবড় দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সুপারভাইজারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থার কর্মীরা এই ঘটনায় সাময়িক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁরা বলেন, মাস তিনেক আগেই কলকাতায় ট্রান্সফার হয়ে এসে তিনি স্পাইসজেট-এর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনে যোগ দেন।