বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) সূত্রে জানা গিয়েছে, এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহমুখী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম টানেলটি কাটার কাজ গত ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তা এস এন ব্যানার্জি রোডের মুখে পৌঁছে গিয়েছে। এসপ্ল্যানেড চত্বর থেকে দ্বিতীয় টানেলটিও বর্তমান মেট্রো স্টেশন চত্বর ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই টানেল কাটার কাজের জন্যই গত ২৮ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহে কাজের দিনগুলিতে আপ-ডাউন মিলিয়ে ২৮৪টি করে ট্রেন চালানো হচ্ছে। এর আগে পর্যন্ত কাজের দিনগুলিতে আপ-ডাউন মিলিয়ে ৩০০টি ট্রেন চালানো হতো।
মেট্রো কর্তাদের বক্তব্য, এসপ্ল্যানেড স্টেশন চত্বরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল তৈরির জন্য মেট্রোয় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে চালানো হচ্ছে। এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে যেখানে ট্রেন বের হওয়ার সময়ে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলে, সেখানে এখন ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলছে ট্রেন। একইভাবে স্টেশনে ঢোকার সময়েও ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার পরিবর্তে ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ট্রেন চলছে। তার জেরে সাধারণত কবি সুভাষ স্টেশন থেকে দমদম পর্যন্ত যেতে কোনও ট্রেনের যেখানে সময় লাগে ৪৯ মিনিট, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ মিনিটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে চালানো হচ্ছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দু’টি টানেলই বর্তমান এসপ্ল্যানেড স্টেশন চত্বর পার করে যাওয়ায় আজ, বৃহস্পতিবার থেকে আগের গতিতেই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, গতি বাড়লেও বাড়ছে না ট্রেনের সংখ্যা।
এমনিতেই, বর্তমানে দ্রুত যাতায়াতে অনেকেরই পছন্দ পাতাল সফর। তার জেরে ভিড় ক্রমেই বাড়ছে মেট্রোয়। কবে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যা? মেট্রো সূত্রের বক্তব্য, বর্তমানে মেট্রোয় ১৪টি এসি এবং ১৩টি নন-এসি রেক রয়েছে। তার মধ্যে একটি নন-এসি এবং একটি এসি রেক বসে রয়েছে দুই ভিন্ন কারণে। কাজেই রেকের সংখ্যা এমনিতেই কমে গিয়েছে। তার মধ্যেও বাকি রেকগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামতির কাজ করাতে হচ্ছে। সামগ্রিক বিষয়টি বিবেচনা করে রেকের সংখ্যার কথা ভেবে আপাতত কাজের দিনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি থেকে আসা পাঁচটি রেকের মধ্যে দু’টি রেককে পরিষেবায় নামানোর চেষ্টা চলছে। রেল বোর্ডে প্রয়োজনীয় নথি জমাও দেওয়া হয়েছে। রেল বোর্ড ছাড়পত্র দিলেই সেগুলিকে নামানো হবে। সেই সময়ে ফের ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে। চলতি মাসের মধ্যেই দু’টি রেকের জন্য রেল বোর্ডের ছাড়পত্র চলে আসবে বলে আশাবাদী কর্তারা।