বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বড়বাজার এলাকায় ভেজাল দুধ তৈরির খবর ইবির কাছে কিছুদিন আগে আসে। তার ভিত্তিতে অফিসাররা খোঁজখবর শুরু করেন। জানা যায়, বড়বাজারের রাজাকাটরা এলাকার একটি বাড়িতে ভেজাল দুধ তৈরির কাজ চলছে। কয়েকজন কর্মী সেখানে কাজ করে। প্যাকেজিং থেকে শুরু করে সমস্ত কাজই চলছে এখানে। কার্টুন কার্টুন ভেজাল দুধ যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। বুধবার সকালে ওই কারখানায় হানা দেন ইবি অফিসাররা। সেইসময় ভেজাল দুধ তৈরির কাজ চলছিল। দেখা যায়, দুই কর্মী ভেজাল পাউডার মেশাচ্ছে। সঙ্গে আরও কিছু উপাদান রয়েছে। সামনে ফাঁকা পড়ে রয়েছে একাধিক কন্টেনার। নামী ব্র্যান্ডের দুধের ফাঁকা কার্টুন পাওয়া যায়। বেশকিছু প্যাকেটে ভরা ছিল ভেজাল দুধ। পুলিসের দাবি, কারখানার কেউ লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। কর্মীরা জানান, মালিকের কথামতো এই দুধ তৈরি হচ্ছিল। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় সুনীল তাঁতি ও অরূপ ভাদুড়ি নামে দুই কর্মীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৯৫ কার্টুন ভেজাল দুধ। এছাড়াও অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ধৃতদের জেরা করে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, প্রতিদিনই কার্টুন কার্টুন দুধ এই কারখানা থেকে বিভিন্ন জায়গায় হরবরাহ করা হতো। কলকাতা ছাড়াও লাগোয়া জেলা এবং দূরবর্তী জেলায় এই দুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য নিয়োগ করা হয়েছে এজেন্ট। তারাই ভেজাল দুধ নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে ভরে তা বিক্রি করা হচ্ছে। এই দুধের দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম। প্রাথমিকভাবে পুলিসের সন্দেহ, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন জায়গায় এই দুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। পলাতক মালিককে ধরা গেলে জানা যাবে, এই দুধ বিগত কয়েকমাসে কোন কোন জায়গায় পাঠানো হয়েছে।
কয়েকমাস আগেও বড়বাজার এলাকা থেকে ভেজাল দুধের কারখানার সন্ধান মিলেছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বিভিন্ন সামগ্রী। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, এরকম একাধিক কারখানা চলছে বড়বাজার ও পোস্তা এলাকায়। ঘিঞ্জি বাজারে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই কারবার চালানো হচ্ছে। ধৃত কর্মীরা পুলিসকে ওই এলাকায় চলা ভেজাল দুধের কতগুলি কারখানার খোঁজও দিয়েছে। এগুলির বিষয়ে আলাদা করে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।