বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বারুইপুর পুলিস জেলা হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে ঢুকে দু’ বার জলদস্যুদের দু’টি দলকে ধরা হয়েছিল। সে সময় এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা। শুধু তাই নয়, জলদস্যুদের ধরতে গিয়ে গুলির মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তারপর মাঝখানে জলপথে দস্যুদের দাপাদাপি অনেকটা কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিস খবর পায়, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলপথ জুড়ে একটি দল পাচারের পাশাপাশি লুটতরাজ চালাচ্ছে। মঙ্গলবার থানার ওসি সুমন দাস, অতিরিক্ত ওসি রেজাউলসহ একটি দল ওই দলটিকে ধরার জন্য জলপথে রওনা হয়। দীর্ঘ ছ’ ঘণ্টা জলপথ পেরিয়ে গভীর রাতে পুলিসের দলটি ঢুলিভাসানি জঙ্গলের এক ও দু’ই এর মাঝে পৌঁছায়। পুলিসের স্পিড বোট থেকে দেখা যায়, বেশ খানিকটা তফাতে দু’টি টর্চের আলো জ্বলছে ও নিভছে। সেখানে দু’টি জলযান পাশাপাশি। কোনও জিনিস তোলা হচ্ছে। খানিকটা সময় অপেক্ষার পর পুলিস স্পিড বোট নিয়ে জলযানের কাছে পৌঁছে যায়। কয়েকজন পুলিস কর্মী জলযানের মধ্যে লাফিয়ে ঢুকে যান। পালালে গুলি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। তাতে কাজ হয়। সব মিলিয়ে ১৭ জন ধরা পড়ে। তবে বাংলাদেশের আরও একটি জলযান ছিল। তাতেই মাল তোলা হচ্ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে সেটি পালিয়ে যায়। বুধবার দুপুরের পর জলযানসহ পাচার করা সামগ্রী মৈপীঠ থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি কাপড়ের গাঁটের ওজন আশি থেকে নব্বই কেজি। এমন ১৫টির বেশি গাঁট পাওয়া গিয়েছে। রায়দিঘি থেকে প্যাক করে তা তোলা হয়েছিল। অভিযুক্তরা নিয়মিত ওই জলপথে অপরাধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে।