বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি হাবড়া, ঘোলা, নিমতা, কাশীপুর এবং রাজারহাট এলাকায় এরকম বহু এটিএম থেকেই অন্যের টাকা তুলে নিয়েছে। কিন্তু কীভাবে সেই টাকা তুলত? জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি নির্দিষ্ট একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমের উপরই নজর রাখত। কিন্তু, কেন? কারণ ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিনগুলি থেকে টাকা লেনদেন সম্পূর্ণ হওয়ার পর, গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায় না। আর এই প্রযুক্তিগত ত্রুটির সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে চুরি করত অভিযুক্ত।
পুলিসি জেরায় সে জানিয়েছে, অধিকাংশ বয়স্ক গ্রাহক এটিএম থেকে লেনদেন সম্পূর্ণ করার পর মেশিনের বাতিল বোতাম টেপেন না। ফলে মেশিনে লেনদেন সংক্রান্ত গ্রাহকের বিস্তারিত তথ্য থেকেই যায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বয়স্ক গ্রাহকরা এটিএম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ঢুকে পড়ত অভিযুক্ত ব্যক্তি। তারপরে পুনরায় সেখানে টাকার অঙ্ক টাইপ করে টাকা তুলে নিত। গত কয়েকমাস ধরেই সে ধারাবাহিকভাবে রাজারহাট সহ ওই সমস্ত থানা এলাকাতে এভাবেই এটিএম থেকে টাকা চুরি করত। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার হেফাজতে থাকা এরকমই চুরি করা ৩০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তার ছবি এবং অন্যান্য তথ্য মিলিয়ে পুলিস নিশ্চিত হয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিই এই চুরিগুলির সঙ্গে জড়িত। এরপরেই পুলিস ধৃতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারাতে ফের মামলা রুজু করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে।
বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, আপাতত ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজারহাট ছাড়াও আরও চারটি থানা এলাকায় এরকম অপরাধ করার ঘটনায় তার যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, অন্যান্য জায়গায় অপরাধের সঙ্গেও তার কোনও যোগ রয়েছে কি না? এবিষয়ে তিনি আরও জানান, এরকম মামলা বিধাননগর কমিশনারেটের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হয়েছে। সেই মামলাগুলি সংশ্লিষ্ট যে এটিএমে হয়েছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযুক্তর সঙ্গে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হবে বলে কমিশনারেটের ওই কর্তা জানান। পাশাপাশি এবিষয়ে যাতে গ্রাহকরাও সতর্ক থাকেন, সেবিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছেও আবেদন করা হয়েছে। বিশেষ করে যে সমস্ত এটিএমে এখনও এরকম পুরানো মেশিন রয়েছে, সেখান আর্থিক লেনদেনের পর যাতে গ্রাহকরা সতর্ক থাকেন— সেবিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে।