বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সাধারণ দেওয়াল লিখন যে মানুষকে আর আকর্ষণ করে না, তা বুঝতে পেরেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তাই সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতে, দেওয়াল লিখনে নতুনত্ব এনেছে তারা। পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে নানা কার্টুনের চরিত্র এঁকে সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে পথচলতি মানুষ এই ব্যঙ্গচিত্র দাঁড়িয়ে দেখছেনও। রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে, এতদিন শুধুমাত্র অমুক প্রার্থীকে ভোট দিন বা অমুক প্রার্থীকে জয়ী করুন লেখা হত। এটা কেউ দেখত না। তাই আসল উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। আবার ওই সরকারের ব্যর্থতা শুধু দেওয়ালে লিখলে কেউ তা পড়ার জন্য দাঁড়াত না। কিন্তু, এই ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে ব্যর্থতা লিখলে, সাধারণ মানুষ তা দাঁড়িয়ে দেখছেন। এতে রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে। আর এই ব্যঙ্গচিত্র আঁকার জন্য পেশাদার শিল্পীদেরই ডাক পড়ছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এখন এমনিতেই দেওয়াল লিখন অনেক পুরনো পদ্ধতি হয়েছে। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে সব রাজনৈতিক দলই জোর দিয়েছে। ডিজিটাল প্রচারই এবারে লোকসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে। তাই চিরাচরিত প্রথায় দেওয়াল লিখলে তা কোনও কাজেই আসত না। তাই দেওয়াল লিখনে কিছুটা বৈচিত্র আনা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক (সদর) শ্যামল মিত্র বলেন, আমরা এবার দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স যেমন করছি, তার চেয়েও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলার উপর বেশি জোর দিয়েছে। আর আমাদের বক্তব্য বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল প্রচার চালানো হচ্ছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে আমরা ব্যবহার করছি। আর দেওয়াল লিখনে কিছুটা বৈচিত্র তো আনতেই হয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, দেওয়াল তো আমাদের বুক করতেই দেওয়া হয়নি। যেটা পাওয়া গিয়েছে, সেখানে নানা রকম বৈচিত্র দিয়েই লেখা হচ্ছে। তবে ডিজিটাল প্রচারে আমরা বেশি জোর দিয়েছি। এতে অনেক সংখ্যক মানুষের কাছে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারছি।