বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পানীয় জল সরবরাহ, সড়ক, বস্তি উন্নয়ন, জঞ্জাল অপসারণ সহ প্রায় সবক’টি বিভাগেই গত বছরের তুলনায় ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মেয়রের বাজেট ঘোষণা থেকে জানা যাচ্ছে, পানীয় জল সরবরাহ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুই খাতে যথাক্রমে প্রায় ৪০৫ কোটি এবং ৬০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন মেয়র। এছাড়া সৌন্দর্যায়নের বিশেষ উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নাম দিয়ে একটি বিভাগ তৈরি করে সেই খাতে ব্যয়বরাদ্দ করা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। এই খাতে আগে মাত্র ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। মেয়র জানান, এই টাকা থেকে মূলত শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় সৌন্দর্যায়ন, পার্ক নির্মাণ ইত্যাদি কাজ হবে। স্বাস্থ্য এবং বস্তি উন্নয়ন খাতে সামান্য হলেও ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স থেকে ৭৩.৫৪ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে এই লক্ষ্যমাত্রা ২৮.৬৭ কোটি টাকা। বিল্ডিং বিভাগ থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩১.৭৭ কোটি টাকা। পুরসভার নিজস্ব আয়ের সবচেয়ে বেশি অংশ আসে সম্পত্তি কর সংগ্রহ থেকে। এই খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০২১.৫০ কোটি টাকা।
মেয়র এদিন তাঁর বাজেট ভাষণে নতুন কোনও চমক রাখেননি। ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে সম্পত্তি কর জমা করার ক্ষেত্রে নাগরিকদের উৎসাহিত করতে পারাটাই যে এখন পুরসভার কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে বিষয়টিকে সরলীকরণ করে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যান্য শহরে গিয়ে সমীক্ষার পাশাপাশি মেয়র পরিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছেন তিনি। ট্রেড লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট অফ এনলিস্টমেন্ট প্রক্রিয়ার আবেদন থেকে তা হাতে পাওয়ার প্রক্রিয়া অনলাইনেই চালু করা হবে এই বছরে। অবৈধ হোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পোর্টাল তৈরি হচ্ছে। ঠিকা টেনেন্সির জমিতে বাড়ি তৈরি করতে গেলে যেসব সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা সরলীকরণ করা এবং অন্য জমির নিয়মমতো এফএআর-এ ছাড়া দেওয়া হবে বলে মেয়র এদিন জানিয়েছেন। পড়ে থাকা সরকারি জমি, পতিত জমি খুঁজে এবং বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চতায় ছাড় দিয়ে বেশি ফাঁকা জমি বের করে গাছ লাগানোয় গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং সেসব ক্ষেত্রে ছাড়ও মিলবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।