উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উন্মুক্ত জায়গায় আবহাওয়া নিয়ন্ত্রিত করে ঘেরা হয় ঘর। আচ্ছাদনে ঢাকা থাকে। সূর্যের আলো সরাসরি ভিতরে প্রবেশ করতে না পারলেও সূর্যরশ্মির তাপমাত্রা ঘরের ভিতর নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই পরিবেশে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। ঘেরা ঘরের মধ্যে ফুল, ফল, সব্জি চাষ করা যায়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প খরচে চাষিরা লাভবান হতে পারেন। উল্লেখ্য, গ্রিনহাউসে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বহু দেশেও। টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বরবটি, লঙ্কা, কুমড়ো ইত্যাদি চাষ করা যেতেই পারে। কৃষি বিশেষজ্ঞ হরষিত মজুমদার জানিয়েছেন, ঘরের সামনে অল্প জায়গায় এই পদ্ধতিতে চাষ সম্ভব। এমনকী বাড়ির ছাদেও এই পদ্ধতিতে চাষ করা যেতে পারে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, বিভিন্ন জাতের লঙ্কা, ক্যাপসিকাম চাষ এই পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে করা যেতেই পারে। বিভিন্ন জাতের ক্যাপসিকামের বীজ পাওয়া যাচ্ছে। কোনওটা সবুজ, কোনওটা লাল, আবার কোনওটা কমলা রঙের। বাজারে এর চাহিদা যেমন আছে, তেমনই যথেষ্ট দামও পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে চাষে সার, সেচ এবং ওষুধ খুব কম লাগে। ঘেরা গ্রিন হাউসের মধ্যেই জলের লাইন করে রাখতে হয়। পাইপের সাহায্যে জল দিতে হবে। কুয়াশাচ্ছন্ন বা ঝিরঝিরেভাবে জল দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈবসার ব্যবহার করতে পারলে ভালো। রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব খুব কম হয় এই পদ্ধতিতে। প্রসঙ্গত, হুগলির গোঘাট, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় এই পদ্ধতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কমল চৌধুরি, দীপক মণ্ডল, অশোক ঘোষদের মতো চাষিরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে চাষ খুবই লাভজনক। স্বল্প সার ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম। ভালো ফলন পাওয়া যায়। সারা বছর ধরে যে কোনও ধরনের চাষ হতে পারে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সব্জি ও ফল ছাড়াও ফুল চাষ করে লাভবান হতে পারেন চাষিরা। গোলাপ, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, বেলফুলের চাষ এই পদ্ধতিতে হতে পারে। লাভজনক এই চাষে এগিয়ে এসেছেন বহু চাষি। সারা বছর এই পদ্ধতিতে ফুলের চাষ সম্ভবপর হয়েছে। তাছাড়া গ্রিনহাউস পদ্ধতিতে শাক, তরমুজ, স্ট্রবেরি, শাঁকালু ইত্যাদি ফলের চাষ করা যেতে পারে। সম্পূর্ণ জৈবসারে তা সম্ভব। চাষের প্রশিক্ষণ ও সহায়তার জন্য জেলা কিংবা মহকুমা বা ব্লকগুলিতে চাষিদের যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞানী গোপালচন্দ্র সেতুয়া জানিয়েছেন, হাইড্রোপনিকের মতো মতো আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গ্রিনহাউস পদ্ধতিতে চাষ লাভজনক। জল, সার এবং ওষুধ খুবই কম লাগে। আর সেজন্য খরচও কম। রোগপোকার প্রাদুর্ভাব নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে অন্ততপক্ষে ৫০টি দেশে গ্রিনহাউস পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে ব্যাপক হারে। যা ফসলের বাণিজ্যিক চাহিদা মেটাচ্ছে।