উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
অধিনায়ক হিসাবে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জয়ের তালিকায় বিরাট কোহলি উঠে এলেন চতুর্থ স্থানে। তাঁর নেতৃত্বে ভারত ৩২টি টেস্ট জিতল। সেই সঙ্গে ভিকে স্পর্শ করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালন বর্ডারের রেকর্ড। তিনিও ৩২টি টেস্ট জিতেছিলেন ক্যাপ্টেন হিসাবে। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ। ১০৯টি ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ৫৩টি জয় এনে দিয়েছিলেন স্মিথ। ৪৮টি টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে। তৃতীয় স্থানে আছেন স্টিভ ওয়া। অধিনায়ক হিসাবে তিনি ৪১টি টেস্ট জিতেছিলেন।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অবস্থান আরও মজবুত করল ‘টিম ইন্ডিয়া’। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারানোর সুবাদে ভারতের পয়েন্ট দাঁড়াল ৩০০। বিরাট কোহলি এখনও অবধি ছ’টি টেস্ট খেলে সবক’টিতেই জিতেছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। ২টি টেস্ট খেলে কিউয়িরা ৬০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। তবে ভারতের থেকে বাকি দলগুলি পয়েন্ট তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। আগামী ২২-২৬ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি হবে ইডেনে। খেলাটি হবে গোলাপি বলে দিন-রাতে। যা ভারত কেন, উপমহাদেশের মাটিতে প্রথম। এই ম্যাচেও বিরাট কোহলিদের পাল্লা ভারী। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বোলিং ভারতের। তার সামনে মাথা তুলে দাঁড়ানো কঠিন বাংলাদেশের পক্ষে। সেটা টাইগার্সরাও ভালোই জানে। তবে ঐতিহাসিক ম্যাচে মমিনুল হকরা ভালো লড়াই উপহার দেওয়ার চেষ্টা হয়তো করবেন। কিন্তু বড় কোনও অঘটন না ঘটলে কোহলি বাহিনী কলকাতায় হয়তো সিরিজ ২-০ করবে সহজেই। সেক্ষেত্রে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত আরও এগিয়ে যাবে।
দ্বিতীয় দিনে ভারতের রান ছিল ৬ উইকেটে ৪৯৩। তৃতীয় দিনে কোহলি বাহিনী আর ব্যাট করতে নামেনি। ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে ডিক্লেয়ার দিয়ে দেয় ভারত। সকালে ভারতীয় পেসারদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। পর পর চারটি উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৪৪ রানে। ভারতকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন উমেশ যাদব। তাঁর বলে বোল্ড হন ইমরুল কায়েস (৬)। আর এক ওপেনার শাদমান ইসলামও ৬ রান করে বোল্ড হন ইশান্তের বলে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে পারেননি ক্যাপ্টেন মমিনুল হকও। সামির বলে সাত রানে লেগ বিফোর হয়ে তিনি মাঠ ছাড়েন। রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিলেন সামি। মহম্মদ মিঠুন যখন একটু থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই ছোবলটা মারেন সামি। তাঁর বলে ১৮ রানে মিঠুন মায়াঙ্কের হাতে ধরা পড়েন। তামিম ইকবাল, সাকিব-আল-হাসানদের মতো তারকাদের অনুপস্থিতি বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ে স্পষ্ট বোঝা গেল। গত সিরিজ থেকেই দুরন্ত ফর্মে আছেন মহম্মদ সামি। চোট সারিয়ে দারুণ কামব্যাক করেছেন। সামির প্রশংসা করে প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর বলেছেন, ‘স্পাইডার ক্যামে যখন সামির রান আপের ভিডিও দেখছি, তখন মনে হচ্ছে যেন কোনও চিতাবাঘ শিকার করতে বেরিয়েছে। ওর সিম ও কব্জির পজিশন খুবই সুন্দর। বল রিলিজ করার ঠিক আগের মুহূর্তে আঙুলের হালকা মোচড়ে যেভাবে বল স্যুইং করাচ্ছে, তা অনবদ্য। এটা অনেক অনুশীলন করলে তবেই সম্ভব।’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র মুশফিকুর রহিম কিছুটা লড়াই চালান। ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে প্রথম তিনি তোলেন ৬৩ রান। লিটন ৩৫ রানে অশ্বিনের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়ার পর মেহেদি হাসানের সঙ্গে বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা চালান মুশফিকুর। দুই ব্যাটসম্যান ৫৯ রানও তুলে ফেলেছিলেন। তখন মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ হয়তো এভাবে খেললে ইনিংস পরজায় এড়াতে পারবে। ঠিক তখনই উমেশের বাউন্সার সামলাতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান মেহেদি (৩৮)। এক্ষেত্রে ভাগ্য তাঁকে সাথ দেয়নি। কারণ, বলটি তাঁর বুকে আঘাত করে স্টাম্প ভেঙে দেয়। বাউন্সারে চোট পান মিরাজও। তিনি মাঠ ছাড়ার পর লড়াইটা কঠিন হয়ে যায় মুশফিকুরের কাছে। স্নায়ুর চাপ নিতে পারেননি তাইজুল (৬)। সাতটি বাউন্ডারির সাহায্যে মুশফিকুর ৬৪ রানে অশ্বিনের বলে আউট হতেই জয়ের গন্ধ পেয়ে যায় ভারত। ইবাদত হোসেনকে আউট করে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতীয় পেসাররা আরও একবার সেরাটা মেলে ধরলেন। সামি (৭), উমেশ (৪) ও ইশান্ত (৩) নিলেন মোট ১৪টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৫০। ভারত ৪৯৩/৬ (ডিঃ)। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২১৩ (মুশফিকুর ৬৪, মিরাজ ৩৮, লিটন ৩৫, সামি ৩১/৪, অশ্বিন ৪২/৩)।