গ্রেম স্মিথ : অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান অস্ত্র পেস বোলিং। ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে মন্থর, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অজিদের এই অস্ত্র কাজ করেনি। অন্য ম্যাচে ভয়ঙ্কর মূর্তিতে আবির্ভূত হলেও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের মতো বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর বিন্দুমাত্র ত্রাসের সঞ্চার করতে পারেনি। তাই, খুব সহজেই ভারত সাড়ে তিনশো রানের গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পেরেছে। পিচের প্রাথমিক ভেজা ভাব শুকিয়ে যেতেই অজি পেসারদের যেন আরও বেশি অসহায় লেগেছে। শুধু তাই নয়, দলের স্পিন আক্রমণের দিকেও অস্ট্রেলিয়াকে কিন্তু বাড়তি নজর দিতে হবে। মন্থর উইকেটে ওদের ব্যাটিংও রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অবশ্য, প্রতি বিশ্বকাপেই এই ধরনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই সব ক্রুটিবিচ্যুতি সামলে তারা পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই, সব দলই তাদের সমীহ করে চলে। ভাবে, অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে হয়তো বা শেষপর্যন্ত বিশ্বখেতাব ছিনিয়ে নেওয়া যাবে। ফিনচের দলের বড় সুবিধা হল, গত (২০১৫) বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দলের একাধিক সদস্য এই দলে রয়েছে। কিন্তু, মন্থর পিচে বেশি ম্যাচ খেলতে হলে কিন্তু ফিনচদের বেশ সমস্যায় পড়তে হবে। গত রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের রিপোর্ট কার্ড অবশ্য সেরকমই বলছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচের ছন্দ ধরে রাখা। বৃষ্টির কারণে ব্রিস্টলে (৭ জুন) শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচটি পাকিস্তান খেলতে পারেনি। ৩ জুনের পর বুধবারই তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। মাঝের ক’টা দিন বিশ্রাম পাওয়ার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক— দু’টি দিকই রয়েছে। নিজেদের জয়ের স্বাভাবিক ছন্দ অজিদের বিরুদ্ধে মেলে ধরাই হল সরফরাজ আমেদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানও তাই ম্যাচটি তুলনামূলকভাবে গতিময় উইকেটেই খেলতে চাইবে। কারণ, পেস বোলিংই তাদের অন্যতম সেরা অস্ত্র। তবে, মন্থর উইকেটে পাক ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দ কিনা, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েইছে।
এককথায় বলা যায়, দু’দলের কাছেই বুধবারের ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটি জেতার জন্য দু’দলই মরিয়া চেষ্টা চালাবে। সত্যি বলতে কী, এই ম্যাচ জেতার ক্ষমতা দুই শিবিরেরই রয়েছে।