হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের সুভাষপল্লিতে একটি প্রাথমিক স্কুলে ওই শিক্ষিকা কর্মরত। সেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঞ্জনবাবু। গত ১৩ আগস্ট স্কুলে কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে ওই শিক্ষিকার ঝামেলা হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা পুরসভার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়া, মানসিকভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তোলেন। এদিন ওই শিক্ষিকা বলেন, বর্তমানে ছুটিতে রয়েছি। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তাই ওই স্কুলে আর যোগ দেব না। স্কুল পরিবর্তনের আর্জি বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে মৌখিভাবে জানিয়েছি। পাশাপাশি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ই-মেলের মাধ্যমে দিদিকে বলোতে অভিযোগ জানিয়েছি। আমার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে বলে সেখান থেকে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্কুলের গেটের চাবি রাখা নিয়ে ওইদিন ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কয়েকজন সহকর্মীর ঝামেলা হয়। স্কুলের সেই দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই শিক্ষিকার পর একটি বেসরকারি হোমের সম্পাদিকাও রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এই অস্থায় দুই অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন বলে রঞ্জনবাবু জানিয়েছেন। রঞ্জনবাবু বলেন, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছি। কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছি। একই সঙ্গে বেসরকারি হোমের সম্পাদিকার বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ করেছি। মানহানির মামলা করেছি। এখন যা হওয়ার কোর্টেই বিচার হবে। তবে ওই হোমের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এদিন বাসিন্দারা বৈঠক করেন। তাঁরা রবিবার আশিঘর ফাঁড়িতে এনিয়ে ডেপুটেশন দিতে পারেন।