হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সংবাদ মাধ্যমের কাছে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হতেই ক্ষোভ তৈরি হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে। তাঁরা বলেন, পরিদর্শন ব্যবস্থাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু ওই বিদ্যালয় পরিদর্শক যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাতে আমাদের সম্ভ্রম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই আমরা আমাদের ক্ষোভের কথা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে জানিয়েছি।
লিখিতভাবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে ১৪ আগস্ট ওই সার্কেলের ৬৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের মধ্যে একটি আলোচনায় বসেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই ভরতবাবুর বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এরপরেই সিদ্ধান্ত হয় তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হবে। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সেলের এক জেলা নেতা বলেন, ওই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এর আগেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তিনি শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও আমরা শুনেছি। তাঁকে মনে রাখতে হবে বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসাবে তাঁর যেমন পদমর্যাদা রয়েছে, শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও একই রকম সম্মান রয়েছে। সেই সম্মান যেন আহত না হয় তা নিশ্চিত করাও তাঁর দায়িত্ব। একই সুরে কথা বলেন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন, পরিদর্শক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন। সেটা তাঁর দায়িত্ব। কোথাও কোনও ভুলত্রুটি দেখলে তা তিনি জানিয়েও দেবেন। কিন্তু সবটাই হওয়া উচিৎ পারস্পরিক মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে। অন্যথায় পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন ওই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোনও মন্তব্য করব না। এদিকে শিক্ষিক শিক্ষিকাদের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুনীতি সাঁপুই। তিনি বলেন, একজন দায়িত্বশীল আধিকারিককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। এর বেশি কিছু বলতে চাইছি না।