হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সীমা মণ্ডল বলেন, আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যাকে প্রতিবেশী পরিবারের লোকরা এদিন আচমকাই হামলা চালিয়েছে। বন্যা ত্রাণের ত্রিপল নিয়ে কিছুদিন আগে গ্রামে একটি ঝামেলা হয়েছিল। আমরা চাই পুলিস ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।
মাসখানেক আগে নাগর ও কুলিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন স্থানীয় ১০টি গ্রামের সঙ্গে নয়াটুলি গ্রামটিও জলের তলায় ছিল। সেখানে ১০০টি পরিবার বানভাসি হয়। বন্যার জল নামতেই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ওই গ্রামে ৩০টির মতো ত্রিপল পঞ্চায়েত সদস্যা বানভাসি মানুষদের জন্য নিয়ে এসেছিলেন। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, বানভাসি মানুষের জন্য সরকারি ত্রিপল প্রতিবেশী আবুল আলি ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। পরে গ্রামবাসীদের চাপে কয়েকটি রেখে সে বাকি ত্রিপলগুলি ফেরত দিয়েছিল। ওই ঘটনায় গ্রামবাসীরা ওই পরিবারের উপর চটে যাওয়ায় রাগ পুষে রেখেছিল। পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, শনিবার বাড়িতে কেউ ছিল না। আচমকাই আমাকে আবুল আলি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করতেই আমার উপর তার ছেলে ও কয়েকজন চড়াও হয়। টেনে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলে পেটানো হয়। পোশাক ছিঁড়ে দিয়ে ওরা আমার শ্লীলতাহানিও করেছে।
কিছুক্ষণের মধ্যে পঞ্চায়েত সদস্যার পরিবারের লোকরাও সেখানে জড়ো হন। তারা পাল্টা ওই পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয়। এতে আবুল আলির স্ত্রী রেজিয়া খাতুন গুরুতর জখম হয়েছেন। যদিও আবুল আলি বলেন, বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণের ত্রিপল কতগুলি এসেছিল, তা গ্রামবাসীদের অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত সদস্যা নিজের কাছে রেখেছিলেন। আমরা বানভাসি হলেও একটি ত্রিপলও পাইনি। পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধর করিনি। ওদের পরিবারের লোকরাই আমার স্ত্রীকে মেরে অজ্ঞান করে দিয়েছে। আমি তৃণমূল করি। গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছে তাই দাবি করেছিলাম বানভাসি সকলেই যেন ত্রিপল পায়। কিন্তু সেটা তিনি করেননি। এদিকে এই হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় নয়াটুলি গ্রামে চরম উত্তেজনা রয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যার পক্ষ থেকে এদিন রায়গঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার আইসি সুরজ থাপা বলেন, একটি অভিযোগ হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।