কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল বলেন, মেলার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্যই রপ্তানি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। মেলার দু’দিন যে ভিড় হয় তাতে ওই পথে গাড়ি চলানো সম্ভব নয়। বহিরাগতদের জন্য স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড থেকে মেলায় আসার অতিরিক্ত যানবাহন থাকবে। মহদিপুর এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সমীর ঘোষ বলেন, রামকেলি মেলা আমাদের গর্ব। মেলার পাশাপাশি পণ্যপরিবহণও যাতে সমস্যা না হয় তা দেখতে অনুরোধ করব। মেলার সুষ্ঠু আয়োজনে পণ্যবাহী লরি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের গৌড়ে আগমন স্মরণেই এই মেলার প্রচলন। ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত বাংলার নবাব হিলেন হোসেন শাহ। তাঁর আমলে গৌড়ে পদার্পণ করেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব। তাঁর আগমন উপলক্ষে নাম সংকীর্তনে মেতে উঠেছিলেন গৌড়পদবাসী। নবাবের প্রধানমন্ত্রী সনাতন এবং অর্থ ভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা রূপ শ্রীচৈতন্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। আড়াই দিন গৌড়ে অবস্থান করে ফিরে যান শ্রীচৈতন্যদেব। এই রামকেলিতেই সংরক্ষিত রয়েছে শ্রীচৈতন্যদেবের পদচিহ্ন। মালদহে তাঁর আগমনের কারণে গৌড়কে আজও তাঁদের অন্যতম পুণ্যভূমি বলেই স্বীকৃতি দিয়ে থাকে বৈষ্ণব সম্প্রদায়। জৈষ্ঠ্য মাসের সংক্রান্তি থেকে শুরু হয় এই মেলা। মালদহের অন্যতম গবেষক ‘বঙ্গরত্ন’ রাধাগোবিন্দ ঘোষ বলেন, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অনেকেই রামকেলিকে ‘গুপ্ত বৃন্দাবন’ আখ্যা দিয়ে থাকেন। একমাত্র এখানেই মহিলাদেরও পিণ্ড দানের অধিকার রয়েছে।
রামকেলি মেলা উপলক্ষে ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদ, বিধায়ক, পুলিস, স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার ক’দিন সুস্থানি মোড় থেকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রাণধারা নামে জলের পাউচ দেদার বিলি করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। তাছাড়া মেলার দিনগুলিতে দপ্তর থেকে জল সরবরাহের সময়সীমাও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। থাকছে কয়েক’শ শৌচালয়ও। স্বাস্থ্য দপ্তরের শিবির থাকবে। থাকবে পুলিস ক্যাম্প। প্রয়োজনে অন্য থানা থেকেও পুলিস আনা হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা তো থাকছেই।
ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহার ঘোষ বলেন, মেলার দু’দিন রাপ্তানি বন্ধ রাখা হবে। পুরসভা থেকেও ওখানে জলের গাড়ি রাখা থাকবে। বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে রামকেলির ১৫-২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক এলইডি বাতি। বিধায়ক তহবিল থেকে দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে শ্রীচৈতন্যদেবের সঙ্গেই বসানো হচ্ছে রূপ-সনাতনের মূর্তি। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা উপলক্ষে ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে।