বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক বিমল দেবনাথ বলেন, শনিবার সকাল সকাল ময়রারডাঙা বিটের জঙ্গলে কুনকিটির খোঁজ মিলেছে। রাইফেলটিও উদ্ধার হয়েছে। পোষা হাতি শ্রীমন্তের পিঠ থেকে পড়ে যাওয়া বিট অফিসার রানা রহমান ও মাহুত সুনীল ওঁরাও শনিবার গণ্ডার শুমারীর দ্বিতীয় দিনও কাজ করেছেন।
গত শুক্রবার থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার শুমারীর কাজ শুরু হয়েছে। ওইদিন জাতীয় উদ্যানের উত্তর জলদাপাড়া রেঞ্জের ৫০ ফুট বিটের জেপি ৪ নম্বর কম্পার্টমেন্ট জঙ্গলের ভিতরে কুনকি হাতি শ্রীমন্তের পিঠে চেপে শুমারীর কাজ করছিলেন রানা সাহেব ও সুনীলবাবু। সকাল ৭টা নাগাদ আচমকা একটি বাইসন কুনকি হাতিটিকে গুঁতো মারলে মাহুত ও বিট অফিসার হাতিটির পিঠ থেকে পড়ে যান। হাতিটির পিঠে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল বিট অফিসারের রাইফেলটি। কুনকিটি পিঠে দড়িতে বাঁধা রাইফেলটি নিয়েই গভীর জঙ্গলে হারিয়ে যায়। সুনীলবাবু ও রানা সাহেব দু’জনই অল্পের জন্য বেঁচে যান। ঘটনার পর রাইফেল ও কুনকিটিকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে বনদপ্তর। দপ্তরের আশঙ্কা ছিল, কোনওভাবে রাইফেলটি চোরাশিকারিদের হাতে চলে যেতে পারে। রাইফেল ও কুনকিটির খোঁজে শুক্রবার রাত থেকেই জঙ্গলে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। প্রখ্যাত হস্তিবিশারদ পার্বতী বড়ুয়া শুক্রবারই বলেছিলেন, শ্রীমন্ত পোষা হাতি। বাইসনের গুঁতোয় সে ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গিয়েছিল। সময় হলে সে ফিরে আসবে। কুনকিটি ফিরে আসায় সেটাই হয়েছে।