বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রথম থেকেই দিল্লিতে আপের সঙ্গে জোট নিয়ে সবথেকে বেশি আপত্তি তুলেছিলেন শীলা দীক্ষিত। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের আপত্তির কথাও জানান। শীলা এবং আরও কয়েকজন নেতার আপত্তিতে জোট সম্ভাবনা ভেস্তে যায়। গত লোকসভা ভোটে সব আসন দখল করলেও বিধানসভায় দিল্লিতে রীতিমতো ধরাশায়ী হয় বিজেপি। দিল্লি বিধানসভায় আসন সংখ্যা তিনে নেমে আসে। কিন্তু এখন পুলওয়ামা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশে জাতীয়তাবাদী হাওয়া তীব্র হয়ে উঠেছে। বিজেপি সেই হাওয়া কাজে লাগিয়ে দিল্লির হারানো জমি ফিরে পেতে প্রবলভাবে আগ্রহী। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও সরাসরি জোটের বার্তা দিয়েছেন।
আপের সঙ্গে জোট কতটা ন্যায়সঙ্গত হবে, জানতে সরাসরি দলীয় কর্মীদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। জোট নিয়ে মতামত জানতে মোবাইল অ্যাপের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা দলীয় কর্মীদের মতামত জানতে ‘শক্তি অ্যাপ’ ব্যবহার করেছেন। দিল্লিতে সেই অ্যাপ ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী বলে জানান দিল্লি কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান অজয় মাকেন। যদিও প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করে শীলা দীক্ষিত বলেন, এইরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার খবর আমার কাছে ছিল না। কেউ আমাকে বলেনি। কর্মীদের মতামত নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে একবার আলোচনা করে নেওয়া উচিত ছিল। শীলা দীক্ষিতের বক্তব্যের জবাবে অজয় মাকেন বলেন, রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা কাম্য নয়।
বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, দেশের মানুষ মোদি এবং অমিত শাহের জুটির বিরুদ্ধে ভোট দিতে চাইছেন। হরিয়ানায় আপ, কংগ্রেস এবং জননায়ক জনতা পার্টি মিলিতভাবে লড়াই করলে ফল অন্যরকম হতে পারত। হরিয়ানার ১০টি আসনেই বিজেপি হারাত। রাহুল গান্ধীর বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। আপ নেতার আরও দাবি, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি বিরোধিতার লক্ষ্য থেকে সরে আসছে কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হলে মোদি-অমিত শাহের জুটি সুবিধা পাবে। একটি আসন থেকে দু’টি বিরোধী দলের প্রার্থী লড়াই করলে এমনটাই হবে। কেজরিওয়ালের মত, শুধু দিল্লি নয়। বিজেপিকে রুখতে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গেও জোটের পথে হাঁটতে হবে কংগ্রেসকে। কোনওভাবেই বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হতে দেওয়া চলবে না। কেজরিওয়ালের বার্তার পর কংগ্রেস সক্রিয় হলেও প্রবীণ আপ নেতা গোপাল রাই জানান, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচার শুরু করে দিয়েছি।