বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিএসএফ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৩টে নাগাদ এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ২৫ জন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারকারী বাংলাদেশের দিক থেকে এ দেশের আংরাইল সীমান্তে আসে। তারা এ পারের কয়েকজন ব্যক্তির সহায়তা নিয়ে ওই সীমান্ত দিয়ে ১০-১৫টি গোরু এপার থেকে বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল। ওই পাচারকারীরা শক্তিশালী বোমা, দা, হাঁসুয়া, হকি স্টিক, জোরাল টর্চ সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। সন্দেহজনকভাবে সীমান্তে তাদের ঘোরাফেরা করতে দেখে বিএসএফের ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাদের গতিরোধ করে। বাংলাদেশিরা তখন ভারতীয় সীমান্তের ২০০ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। বিএসএফের তাড়ায় পিছু হটার বদলে তারা টর্চ দিয়ে বিএসএফ জওয়ান আনিসুর রহমানকে দেখতে পায়। তারপরই তাঁকে লক্ষ্য করে একটি বোমা ছোঁড়ে। কিন্তু, সেই বোমা সরাসরি তাঁর শরীরে লাগেনি। তাঁর কাছেই বিকট শব্দে বোমাটি ফাটে।
বোমা ছুঁড়ছে দেখেই আত্মরক্ষার স্বার্থে ওই বিএসএফ জওয়ান পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। ঠিক তখনই গোরু পাচারকারীরাও ওই জওয়ানকে খুন করার জন্য তাঁকে লক্ষ্য আরও একটি শক্তিশালী বোমা ছোঁড়ে। সেই বোমা উড়ে এসে আনিসুর রহমানের ডান হাতে লেগে ফাটে। বোমার আঘাতে তাঁর ডান হাতের কবজি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। গোটা শরীরও ক্ষতবিক্ষত হয়। তিনি অচেতন হয়ে লুটিয়ে পড়েন। বিএসএফ জানিয়েছে, বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে তাঁর ফুসফুস, কিডনি এবং পাকস্থলীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ঘন লম্বা ঘাস এবং অন্ধকারের সুযোগে ওই পাচারকারীরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। এদিকে, এই ঘটনার পরই বিএসএফের অন্য জওয়ানরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই জওয়ানকে উদ্ধার করেন। তারপর বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। বনগাঁ থেকে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। বিএসএফের উপর এহেন হামলার ঘটনায় গোটা সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়েছে।
বিএসএফের কলকাতাস্থিত দক্ষিণবঙ্গ হেড কোয়ার্টারের তরফে জানানো হয়েছে, বিএসএফের আইজি (দক্ষিণবঙ্গ হেড কোয়ার্টার, কলকাতা) এই ঘটনাটিকে খুবই গুরুত্বের চোখে দেখছেন। সীমান্তে পাচারকারী ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সকলকে নির্দেশও দিয়েছেন। যাতে এভাবে বিএসএফের উপর হামলা আর না হয়। পাশাপাশি, এই ঘটনায় বাংলাদেশের বিজিবিকেও (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ) কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে সীমান্তে দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে তাদের কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছে ভারত।