সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এব্যাপারে উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) রঞ্জন রায়চৌধুরী বলেন, গতবছর থেকে নদীয়া জেলায় গম চাষ করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বীজ শোধনের পরেই এই চাষ করা যাবে। আমার অনুরোধ, গম চাষ না করে বিকল্প চাষ করার দিকেই এগনো দরকার। জেলা কৃষিদপ্তরের এক কর্তা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু জাত রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম, সেই সমস্ত বীজের চাষ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে চাষিদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনাও সারা হবে। আমরা যতটা সম্ভব সচেতন করার চেষ্টা করছি। ব্লকের কৃষি আধিকারিকরাও প্রয়োজনীয় প্রচার করছেন।
জেলা কৃষিদপ্তরের এক কর্তা বলেন, সরকারিভাবে ডিবিডব্লু ১৮৭, ডিবিডব্লু ১৭৩, এইচডি ২৪৬৭, এইচডি ৩০৪৩ শংসিত বীজ সংগ্রহ করতে বার বার বলা হয়েছে। প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পর গতবছর নদীয়ায় গম চাষের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। নদীয়া জেলাজুড়ে গম চাষ বন্ধ রাখা হয়েছিল ঝলসা বা হুইট ব্লাস্ট রোগের কারণে। মুর্শিদাবাদেও গম চাষ বন্ধ রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে আসা এই ঝলসা রোগ সীমান্ত এলাকায় গম চাষে ব্যাপক ক্ষতি করছিল। হেক্টরের পর হেক্টর জমির গম নষ্ট হয়। গাছ পুড়িয়ে ফেলা হয়। রাজ্য সরকার হুইট হলিডে বা গম চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই ঝলসা রোগের হাত থেকে চাষ ও চাষিদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে গম চাষের বিকল্প হিসেবে ডাল ও অন্যান্য ফসল চাষ করা হয়। বিকল্প চাষ করে চাষিরা কিছুটা নিজেদের অবস্থা সামলে নিলেও গম চাষ বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন অনেকেই। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ফের গম চাষের অনুমতি পেলেও কৃষিদপ্তর বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই সতর্কতা অবলম্বন করেছে বলেই জানা গিয়েছে।