উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
জেলার মধ্যে বোলপুরের শ্রীনিকেতনে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র রয়েছে। যা বহু পুরনো। যদিও শ্রীনিকেতন এলাকা বর্তমানে শহরের চেহারা নিয়েছে। তাই বহুদিন থেকেই একেবারে গ্রাম্য পরিবেশে রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়াস চালাচ্ছিল সরকার। অবশেষে ঠিক হয় কৃষি প্রধান মুরারই-১ ব্লকের রূপরামপুরে এই কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এদিন সেই জায়গা পরিদর্শন করেন মৎস্যমন্ত্রী, রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তুলতে ২৫ একর জায়গা দরকার। রূপরামপুরে সেই জায়গা রয়েছে। তবে সেই জায়গা কিছু দখল হয়ে রয়েছে। অনেকে বসবাস করছেন। তবে তাঁদের রেখেই এই কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ, পাশেই আরও আট একর ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তিনি বলেন, পুরো জায়গাটি বর্তমানে পিডাব্লুডির অধীনে রয়েছে। জায়গাটি মৎস্য দপ্তরের হাতে এলেই রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই কেন্দ্র গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হবে।
অন্যদিকে উপাচার্য বলেন, কৃষিভিত্তিক জেলা বীরভূম। ফলে, এখানে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র দরকার। এই জেলার শ্রীনিকেতনে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু, এখন বোলপুর তো আর গ্রাম নেই। তাই একদম গ্রামের মধ্যে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে সরকারকে শুধু জমি দিতে হয়। বাকি আর কোনও খরচ রাজ্য সরকারকে দিতে হয় না। পুরো খরচ বহন করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড রিসার্চ। তিনি বলেন, এখানে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র হলে এই জেলার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে সাহায্য করবে। কারণ, এখানে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। বিনয়বাবু বলেন, খুব শ্রীঘ্রই দিল্লি থেকে পাঁচ সদস্যর একটি টিম এসে জায়গা পরিদর্শনের পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ উদ্যোগে এই বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। নিজস্ব চিত্র