উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কালিয়াগঞ্জে এদিনের প্রচারে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল উপস্থিত ছিলেন। প্রবীরবাবু বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এখানে রাধিকাপুর থেকে দিনের বেলা ট্রেন চালানো সহ ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, লোকসভার প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। এলাকার মানুষের জন্য একটি কাজও করেননি।
কালিয়াগঞ্জ শহরের শিমুলতলা এলাকায় এক জনসভায় এদিন রাজীববাবু বলেন, বিজেপি মানুষকে শুধু আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের বৈতরণী পার করতে চায়। মানুষকে ধোঁকা দেওয়া, বোকা বানানোই ওদের কাজ। এছাড়া ওদের কোনও কাজ নেই। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে মানুষ ওদের বয়কট করে তার জবাব দেবে। সেটা আমরা নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে স্পষ্ট বুঝতে পারছি। ভোটের ফল ঘোষণার পর আমি ফের কালিয়াগঞ্জে আসব। এখানের বাসিন্দারা নানা সমস্যায় জর্জরিত। উন্নয়ন কাকে বলে আগামী দেড় বছরে আমরা তা করে দেখাতে চাই। একবার সুযোগ দিন। এই আসন কোনও দিনই আমাদের ছিল না। আমাদের কাজ করার সুযোগ দিন।
এদিনের সভায় উপস্থিত রাজ্যের আরেক মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, উপনির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, রাজ্য সরকারের কোনও পরিবর্তন হবে না। শাসকদলের বিধায়ক নির্বাচিত হলে এখানে উন্নয়নের কাজ হবে, সেটা মানুষকে আর বোঝাতে হচ্ছে না। কালিগঞ্জ উপনির্বাচনে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, এবার তাঁরা তৃণমূলকেই নির্বাচিত করবেন।
এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল একটি রোড শো’তেও অংশগ্রহণ করেন। কয়েকশ’ কর্মী মোটর বাইক নিয়ে রোড শোতে যোগ দেন। গৌতমবাবু শহর ছাড়াও এদিন বুড়ুয়া বামনগাঁও গ্রামে পায়ে হেঁটে, গাড়িতে চেপে প্রচার করেছেন।
এনআরসির পাশাপাশি দিনের বেলায় কোনও ট্রেন কালিয়াগঞ্জবাসী না পাওয়ায় এখানকার ভোটারদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কতটা ফায়দা তুলতে পারে সে দিকে নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।