উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক তথা আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, বর্জ্য ফেলার সময় পুরসভার সাফাই কর্মী ও শ্রমিকদের হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ আমরা কিছু দিন ধরেই পেয়ে আসছিলাম। তাই রাতে বা দিনে কাজের সময় যাতে সবাই ওঁদের চিনতে পারে তারজন্য আমরা স্থির করেছি সাফাই কর্মী ও শ্রমিকদের ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র দেব। শীঘ্রই ওসব তাঁদের মধ্যে বিলি করা হবে। তবে তাঁরা গামবুট ও জ্যাকেটের দাবি করেছেন। সেটা আমরা ভেবে দেখছি।
পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুময় চক্রবর্তী বলেন, বর্জ্য ফেলার সময় হেনস্তা হওয়া থেকে বাঁচতেই আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এই পরিচয়পত্র ও ইউনিফর্ম চেয়ে আসছি। অবশেষে পুরসভা সেই দাবিতে রাজি হওয়ায় আমরা খুশি। আশা করি, সকলেই সেই পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে ইউনিফর্ম পরে কাজ করবেন।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ ও সাফাই বিভাগে মোট ২১ জন সাফাই কর্মী এবং ৪৯ জন শ্রমিক আছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই পুরসভার পরিচয়পত্র ও ইউনিফর্ম দেওয়া হবে। পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে ওই কর্মীরা কাজ করেন। ওয়ার্ড থেকে তাঁরাই বর্জ্য তোলেন এবং সাফাই করেন। শীতের সময় ঠান্ডায় বর্জ্য সংগ্রহ করা এবং পরিষ্কার করার জন্য সাফাই কর্মী ও শ্রমিকদের অসুবিধা হয়। তাই তাঁরা জ্যাকেটের দাবি করেছেন।
১৯৫৭ সালে পুরসভা গঠন হলেও আজ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার পুরসভার বর্জ্য ফেলার কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। শহরের বাইরে একটি চা বাগানের জমিতে বহু প্রতীক্ষিত সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হলেও সেই কাজ শেষ হতে অনেকটা সময় লাগবে। অভিযোগ, ততদিনে রাতের অন্ধকারে শহরের আনাচেকানাচে বর্জ্য ফেলতে গিয়ে প্রায়ই পুরসভার সাফাই কর্মী ও শ্রমিকদের স্থানীয় বাসিন্দাদের হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে। কখনও কখনও দূষণের অজুহাত তুলে সাফাই কর্মীদের মারধর ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ অতীতে উঠেছে। এরফলে কাজের সময় সাফাই কর্মী ও শ্রমিকরা প্রায়ই নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। সাফাই কর্মী ও শ্রমিকদের অভিযোগ, পুরসভার সাফাই কর্মী হিসেবে চিনতে না পারার কারণে অনেক সময় তাদের পুলিসি হেনস্তার মুখেও পড়তে হচ্ছে। গতবছর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকায় বর্জ্য ফেলার সময় এক সাফাই কর্মীকে বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। পুরসভার সাফাই কর্মীকে হেনস্তা করার ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে।
ওই দিন সকালে দুর্গাবাড়ি রাসমেলার মাঠ পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন সাফাই কর্মীরা। মাঠ ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে না বলে মেলা কমিটির এক পদাধিকারী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন কমিটির একনেতা সাফাই কর্মীদের গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সাফাই কর্মী ও শ্রমিকরা মঙ্গলবার পুরসভায় আংশিক কর্মবিরতি পালন করেন এবং পুরসভার প্রশাসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।