উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
অনাবৃষ্টির জেরে সারা রাজ্য জুড়েই এবছর ধান রোপণ আশানুরূপ হয়নি। সরকারি সূত্রের খবর, জুলাই মাস শেষে মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ হয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম জেলায় আরও কম। বৃষ্টির ঘাটতির জন্য যেসব জমিতে ধান রোপণ করা যাচ্ছে না, সেই সব জমিতে ডাল জাতীয় শস্য চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শস্য বিজ্ঞান বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-’১৭ আর্থিক বর্ষে আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা তহবিল থেকে ডাল জাতীয় শস্যের উপর একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রথম বছরে ওই প্রকল্প থেকে নদীয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে মুসুর, খেসারি, মুগ চাষ করা হয়। মোট এক হাজার জন চাষি চাষ করেন। দ্বিতীয় বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে ওই পাঁচ জেলায় ৪২৫ হেক্টর জমিতে ২৬২১ জন চাষি ডাল জাতীয় শস্য চাষ করেন। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে ওই পাঁচ জেলা ছাড়াও বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলায় ৩৯১ হেক্টর জমতে ২৭৩৩ জন চাষি এই চাষ করেন। ডাল জাতীয় শস্য চাষের পর সববায়ের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করা হয় গত তিন বছরে। যে বীজ গুলি উন্নতমানের। এই বীজ থেকে ফসল উৎপাদন বেশি পরিমাণ হচ্ছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাজীব নাথ বলেন, গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন জেলায় ডাল জাতীয় শস্য চাষের উপর গবেষণা চলেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অনাবৃষ্টিতে ধান রোপণ না হলে চাষিরা মুসুর, খেসারি, মুগ, ছোলা চাষ করতে পারেন। নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে, এমন জমিতে ভাল চাষ হবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে চাষ হয়েছে। ওই তিন জেলায় ডাল জাতীয় শস্য চাষের উপর জোর দেওয়া যেতে পারে। আগস্ট মাসেই বীজ বোনার সময়। ভুট্টাও চাষ করা যেতে পারে। প্রতি বিঘা জমিতে ছোলা, মুগ ও খেসারি চাষ করে খরচ বাদে যথাক্রমে ৮ হাজার, ৭ হাজার ও ৮ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন চাষরিা।