উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
কমফর্ট জোনের বাইরে
‘সিকান্দার কা মুকাদ্দার’ ছবিতে ‘কামিনী সিং’ নামে এক সাধারণ মহিলার চরিত্রে দেখা যাবে তমান্নাকে। পর্দায় ‘কামিনী’ হয়ে ওঠার প্রসঙ্গে তমান্না বলেন, ‘এই চরিত্রের জন্য আমি নিজেকে সম্পূর্ণ ভেঙেছিলাম। কমফর্ট জোন ছেড়ে বেরিয়েছি। আমি নীরজ স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ যে উনি এরকম এক জটিল চরিত্র আমাকে দিয়েছেন। আমার উপর আস্থা রেখেছেন।’
নতুন দুনিয়ার সন্ধান
দক্ষিণের পাশাপাশি ইদানীং বলিউডেও একের পর এক কাজ করছেন তমান্না। দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই তাঁর নানা ধরনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘একার চেষ্টায় ছবি তৈরি করা যায় না। এটা টিম ওয়ার্ক। দক্ষিণে হোক বা বলিউড— আমার কাছে শুধুমাত্র চিত্রনাট্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিছু পরিচালক কোনও সাধারণ গল্পকেও দারুণ ভাবে প্রেজেন্ট করেন। আমি তেমন প্রজেক্ট খুঁজি। টেলিভিশন, থিয়েটার বা ওটিটি-তে ছবি দেখার সময় আমি এমন গল্প পছন্দ করি, যা নতুন দুনিয়ায় নিয়ে যাবে।’
গল্পের অভাব
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায়ই শোনা যায় ভালো কনটেন্টের অভাব। তমান্নার কী মত? স্পষ্ট বললেন, ‘সত্যিই ভালো গল্পের অভাব রয়েছে। তবে কোভিডের পর থেকে আমাদের জীবনে, সংস্কৃতিতে অনেক বদল এসেছে। সিনেমাও বদলেছে। কোন দিকে যাচ্ছি, তা আমরা নিজেরাও জানি না। এখন আমাদের গল্প প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করছে।’
সৌন্দর্যের সেলিব্রেশন
তমান্নার রূপে মুগ্ধ দর্শক। অভিনেত্রী নিজেও সে বিষয়ে সচেতন। প্রসঙ্গ উঠতেই হেসে বললেন, ‘সিনেমা বা শিল্প শুধুমাত্র সৌন্দর্যকে ঘিরে, এটা আমি মনে করি না। সৌন্দর্য কখনও যন্ত্রণাময়, আবার কখনও কাব্যিক। তবে সৌন্দর্যকে আড়ালে না রেখে, সেলিব্রেট করা উচিত।’
দুই পৃথিবী
বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটি-তে সমান সফল তমান্না। তবে বড় পর্দায় ছবি মুক্তির মজা আলাদা বলে মনে করেন অভিনেত্রী। ‘এ বছর আমার তামিল ছবি ‘আরনমনাই’ একশো কোটির ব্যবসা করেছে। এটা নারীকেন্দ্রিক ছবি। অন্য কোনও ভাষায় ছবিটির ডাবিং করা হয়নি। তবে ওটিটি এবং থিয়েটার— এই দুই পৃথিবীতেই অভিনয় করছি, সেটা উপভোগ করতে পারছি, এটা আমার সৌভাগ্য।’