সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
রাজা ফাইজা আলমের লেখা ও পরিচালিত এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র স্বপ্নদীপ। দৃষ্টিহীন যে তরুণ উচ্চমাধ্যমিকে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করে। ক্রমে তার বড় হয়ে ওঠার চেষ্টা ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আকাঙ্ক্ষাকে পরিচালক মঞ্চে সুচারু ভাবে দেখিয়েছেন। স্বপ্নদীপ নিজের স্বপ্ন সফল করতে লড়াই করেছে। আত্মনির্ভর হয়ে বিদেশে গিয়েছে। তার প্রাণের সঙ্গী খুশিও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে স্ট্রাগল করেছে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে অন্য কারও জীবনসঙ্গী হতে হয়েছে। এই নাটকে বহু চরিত্র রয়েছে। কেউ হকার, কেউ উকিল, কেউ সাংবাদিক। তাদের প্রাপ্তি, অভিযোগ, অধিকারের কথাও রয়েছে।
এই নাটকের কুশীলবরা অধিকাংশই ছিলেন দৃষ্টিহীন। বাকিরা বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন। নাটক দেখতে গিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকেছি মঞ্চে। কী দক্ষতার সঙ্গে তাঁরা অভিনয় রপ্ত করেছেন! নাট্যকার ও পরিচালক রাজা ফৈজা আলমও দৃষ্টিহীন। তাঁর দক্ষতাও কুর্ণিশযোগ্য। দেবাশিস দাস, মিনারা খাতুন, সুজাতা সিংয়ের অভিনয় উল্লেখযোগ্য।
নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন দেবাঞ্জলী কুণ্ডু। আলোকসম্পাতে দেবপ্রসাদ ঘোষ। আবহে সোমনাথ পানি। নাটকে আবহ প্রস্তাবনা নিয়ে আরও মহলার প্রয়োজন আছে। এই নাটকের মাধ্যমে দৃষ্টিহীনদের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের জন্য কয়েকটি দাবিকে সামনে রাখা হয়েছে। সমাজে তাদের জন্য চাই সঠিক পরিকাঠামো, কর্মসংস্থান, সুস্থ পরিবেশ ও বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার।