ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
অথচ জলপাইগুড়ির ভূমিকন্যা আদপেই এমনটা নন। বাবা, মা, দিদি, ঠাম্মার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে বড় হওয়া শার্লি সম্পর্কের পবিত্রতাকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন বরাবর। তবুও ‘শালিনী’ চরিত্রে অভিনয় কি সময় আর বয়সের নিরিখে একটু বেশিই ঝুঁকির সিদ্ধান্ত হয়ে গেল? ‘যেদিন অভিনয় জগতে পা রেখেছিলাম সেদিনই জীবনে বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলাম। অভিনয়ে এসেছি নিজের সিদ্ধান্তে। শালিনী চরিত্রটাও আমার উপর কেউ জোর করে চাপিয়ে দেননি। আমি নিজেই পছন্দ করেছি। দিনের শেষে আমি একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে ফ্লোর থেকে মাথা উঁচু করে বেরোতে চাই। তারজন্য যে কোনও ঝুঁকি নিতে আমি প্রস্তুত’, সোজাসাপটা জবাব শার্লির।
বাস্তবে শার্লির মনের মানুষ মৃত্যুঞ্জয় পেশায় আইটি কর্মী। তিনি মডেলিং ও নাট্যচর্চাও করেন। মাঝে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও, এখন আবার বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। জীবনের কঠিন সময়ে গান শার্লির হাত ধরে থেকেছে বরাবর। বাবার আগ্রহে সপ্তম বর্ষ পর্যন্ত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছেন অভিনেত্রী। যা এখনও তাঁর নির্জনতার সঙ্গী। অকপট শার্লি বলেন, ‘কঠিন সময়ে ভেঙে পড়িনি। ছাদে বসে একা একা টপ্পা, ঠুংরি, গজল গাইতাম। মন শান্ত করতে গীতা পড়ি। আধ্যাত্মিকতার আশ্রয় নিয়েছি। নিজের ভুলগুলোকে চিনতে শিখেছি।’ শার্লি নিয়মিত জিম করেন। তাঁর কথায়, ‘জিমে আমি ওয়েট লিফটিং প্র্যাকটিস করি। ফলে বক্সিং গ্লাভস পরে রিংয়ের মধ্যে ফাইট করতে অসুবিধা হয় না।’ পেশা হোক বা ব্যক্তি জীবন সত্যের পথে অবিচল থাকতে চান শার্লি।