দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
তবে গবেষণা কিন্তু একথা বলে না। কথায় আছে, নারীর মন বোঝা বড় দায়। আসলেও কি তাই?
সম্প্রতি পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ১২২ জন কর্মজীবী বিবাহিত নারীর ওপরে সপ্তাহব্যাপী এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, নারীরা আসলে কর্মক্ষেত্র থেকে ঘরেই বেশি মানসিক চাপে থাকেন। আর এজন্য ঘরের তুলনায় তাঁরা কর্মক্ষেত্রে থাকার সময়টাই বেশি সুখের মনে করেন। দিনের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তাঁদের মানসিক অবস্থা জেনে এই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এই ফলাফলে অবাক হচ্ছেন? আরও অবাক করা বিষয় হচ্ছে পুরুষরা কিন্তু কর্মক্ষেত্রের তুলনায় ঘরেই বেশি সুখী। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নারীরা খুব চাপ নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না। কাজের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি না থাকলে তাঁরা অন্য কাজ দেখেন বা কাজ ছেড়েও দেন অনেকসময়। অন্যদিকে, পুরুষের কাজ বা কাজের পরিবেশ পছন্দ না হলেও কাজটি তাঁকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করে যেতে হয়। যেজন্য ঘরে ফিরে তিনি অনেক রিল্যাক্সড ফিল করেন। এদিকে নারীকে বাইরের কাজ করে ঘরে ফিরে পুরো সংসার সামলাতে হয় প্রায় এক হাতে। এজন্য বাইরের সময়টাই তিনি অপেক্ষাকৃত ভালো অনুভব করেন। বাচ্চা থাকলে, ঘরে ফিরে সন্তানদের কাছে পেয়ে মায়েরা কিন্তু বেশ ভালোই সময় কাটান। যদিও অনেক বেশি কাজ করতে হয়। তবেই তাঁর মানসিক চাপ কমে। চাকরিজীবী নারীদের জন্য ঘরও সুখের হতে পারে, যদি সঙ্গী ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে। সারাদিনের বাইরের কাজ শেষে ঘরে ফিরে যখন ঘরের কাজগুলো করতে হয়, প্রিয় মানুষটি যদি একটু রান্নাঘরে গিয়ে তাঁকে সঙ্গ দেন, গল্প করেন বা স্যালাডটুকুও কেটে দেন, তাহলেই নারী ভালো থাকবেন ঘরে-বাইরে।
সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়