পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
সৌরমণ্ডলে সবচেয়ে বড় বস্তু হল সূর্য। সৌর পরিবারের মোট ভরের ৯৯.৮ শতাংশই সূর্যর। সৌরমণ্ডলের এই নক্ষত্রের পেটে আমাদের পৃথিবীর মতন ১০ লক্ষের বেশি গ্রহ হেসেখেলে এঁটে যাবে। সূর্য অগ্নিকুণ্ড। এর পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা ১০ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট। সেলসিয়াস স্কেলে ৫ হাজার ৫০০ ডিগ্রি। সূর্যের একেবারে কেন্দ্রের তাপমাত্রা ২ কোটি ৭০ লক্ষ ফারেনহাইট বা দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। আমাদের এখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেই হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছ, সূর্যের তাপমাত্রা ঠিক কত বেশি। আমাদের সৌরমণ্ডল রয়েছে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ে নক্ষত্রপুঞ্জে। এখানে প্রায় ১০ হাজার কোটির বেশি নক্ষত্র রয়েছে। এরমধ্যে সূর্য একটি মাঝারি মাপের নক্ষত্র। সূর্যের ব্যাস ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার কিলোমিটার। ব্যাস কি জানো তো? একটি বৃত্তের মাঝ বরাবর অর্থাৎ কেন্দ্রকে একদিক থেকে অন্যদিকে পর্যন্ত টানা রেখাই হল ব্যাস। পৃথিবীর চেয়ে সূর্যের ব্যাস ১০৯ গুণ বেশি।
আমরা জানি মহাবিশ্বে কোনও কিছুই স্থির নয়। তাহলে সূর্যও কি ঘোরে? হ্যাঁ, সুয্যিমামাও নিজের অক্ষের চারপাশে এবং মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চারপাশেও ঘোরে। সূর্য প্রায় ২৭ দিনে তার নিজের অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরে আসে। সূর্যের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন গতিতে ঘোরে। নির্দিষ্ট কয়েকটি সৌরকলঙ্কের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা সূর্যের নিজ অক্ষরেখার চারপাশে আবর্তন প্রক্রিয়ার হিসেব কষেছেন। সূর্য নিজের চারদিকে ঘোরার পাশাপাশি আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথে ভিতর দিয়ে নিজে কক্ষপথে গ্যালাকটিক সেন্টারকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে। গ্যালাকটিক সেন্টার কী? আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্র হল গ্যালাকটিক সেন্টার। সূর্য একাই ঘোরে না! নিজের সংসার অর্থাৎ পৃথিবী সহ সৌরজগতের সমস্ত আত্মীয়স্বজনকে নিয়েই আকাশগঙ্গা ছায়াপথকে প্রদক্ষিণ করে সূর্য। সেকেন্ডে ২২০ কিলোমিটার গতিতে সমগ্র সৌরজগৎ নিয়ে একবার ঘুরতে সূর্যের সময় লাগে সাড়ে বাইশ থেকে পঁচিশ কোটি বছর। আর এই প্রদক্ষিণ সময়কে বলে গ্যালাকটিক বছর। হিসেব মতো সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০-২৫ বার গ্যালাকটিক সেন্টারকে কেন্দ্র করে সূর্য ঘুরতে পেরেছে। সূর্যের এই কক্ষপথ মোটামুটিভাবে উপবৃত্তাকার।