Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

বনের রাজা

সোমজা দাস: মধু ওঁরাওয়ের একটা হাতি আছে। যেমন তেমন হাতি নয়। কালাপাহাড়ের মতো বিশাল তার চেহারা, লম্বা দুটো দাঁত। কানদুটো ধামার মতো। মধু তার নাম দিয়েছে মুংলি।         
মুংলি যখন ছোট্টটি ছিল, মধুও তখন হামা টানে। দু’টি সমবয়সি প্রাণীর মধ্যে সখ্য গড়ে উঠতে সময় লাগেনি। জঙ্গলে যারা থাকে, পশুপাখিদের সঙ্গে পাশাপাশি ঘেঁষাঘেঁষি করে পরশির মতো বাস করে। কিন্তু যারা বাইরে থেকে লুকিয়ে ঢোকে, বনের প্রতি তাঁদের কোনও মায়া নেই। নির্দয়ের মতো গাছ কাটে, নির্বিচারে পশুপাখি মারে। এদের অত্যাচারে বন ছোট হয়ে যাচ্ছে আজকাল। নদীর পাড় ভাঙছে। ভেসে যাচ্ছে কত গ্রাম। মধুর ভয় হয়, কোনওদিন হয়তো তাদের এই ছোট্ট গ্রামটাও আর থাকবে না।          
জঙ্গলের ধার ঘেঁষে মধুদের গ্রাম। এখানকার মানুষেরা জঙ্গলের উপরে নির্ভর করেই বেঁচে থাকে। কেউ মাছ ধরে, কেউ মৌচাক ভাঙে। কাঠ কুড়োয়। ঝোপঝাড় হাতড়ে খুঁজে আনে শাকপাতা, ফলপাকুড়, জ্বালানি।    
মধুর মা নেই। বাবা শহরে কাজ করে। মধু থাকে তার বুড়ি ঠাকুরমার সঙ্গে। ঠাকুরমাও ইদানীং খুনখুনে বুড়ি হয়ে পড়েছে। তার উপরে চোখেও দেখে না ভালো। সংসারের সব কাজ মধুকেই করতে হয়। সকালে কাজ সেরে ইশকুলে যায় সে। বাড়ি ফিরে রাঁধেবাড়ে। নিজে খায়, ঠাকুরমাকে খাওয়ায়।        
তারপরেও পড়ে থাকে সারাটা দুপুর। সেই সময়টা মুংলির সঙ্গে খেলে বেড়ায় সে। মুংলি এখন তো আর ছোটটি নেই। শুঁড়ে করে জড়িয়ে মধুকে নিজের পিঠে বসিয়ে নেয়। মধুও হাতে একখানা গাছের ডাল নিয়ে বীরদর্পে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। তখন নিজেকে বনের রাজা বলে মনে হয় তার।     
।। দুই ।।
সেদিনটাও ছিল অন্যান্য দিনের মতো একটা সাধারণ দিন। মুংলির পিঠে চড়ে বেড়াতে বেড়াতে গভীর জঙ্গলে চলে এসেছিল মধু। এমন সময় চোখে পড়ল, নদীর ধারে বেলগাছে ফলে আছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাকা বেল।   
দেখেই ভারী লোভ হল মধুর। মুংলিকে বুঝিয়ে বলতেই সেই গিয়ে দাঁড়াল বেলগাছের ঠিক নীচে। ওর পিঠে দাঁড়িয়ে বেল পাড়তে শুরু করল মধু। পাকা বেল, যেমন মিষ্টি গন্ধ, তেমনি তার স্বাদ। দু’জনে মিলে যত পারল বেল খেল। তাতে পেট ভরল বটে, কিন্তু মন ভরে কই! ইশ, আরও কিছু বেল যদি নিয়ে যাওয়া যেত সঙ্গে, কী ভালোই না হতো! বেলের শরবত ভারী ভালোবাসে ঠাকুরমা। 
ভাবতে ভাবতেই বুদ্ধি খেলে গেল মধুর মাথায়। চট করে পরনের জামাটা খুলে ফেলল। পুটুলি বানিয়ে তাতে ভরে ফেলল অ্যাত্ত অ্যাত্ত বেল। তারপর সেটা আড়াআড়ি করে বেঁধে নিল পিঠে।      
বেলা পড়ে এসেছে। বনের বিশাল বিশাল গাছের ঝাঁকড়া মাথা আকাশ ঢেকে রাখে। তাই এখানে সন্ধে নামে তাড়াতাড়ি। সূর্য পশ্চিমে ঢলতে শুরু করলে আশপাশের গ্রামের মানুষজন বাড়ি ফিরে যায়। অন্ধকার অরণ্য নিরাপদ নয়।        
অন্যদিন অনেক আগেই ফিরে যায় মধুও। কিন্তু আজ বেল পাড়ার আনন্দে সময়ের খেয়াল ছিল না। এখন চারদিকে তাকিয়ে বুঝল, বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। তার উপর এসেও পড়েছে অনেকটা গভীর বনে। সূর্যাস্তের আগে ফিরতে হবে। মুংলিকে তাড়া দিল সে। দু’জনে ফিরতি পথ ধরল।   
সামান্যই এগিয়েছে, হঠাৎ থমকে 
দাঁড়াল মুংলি।  
‘কী হল রে?’ জিজ্ঞাসা করল মধু। খেয়াল করল, মুংলির কান খাড়া। অর্থাৎ সে কোনও শব্দ শুনতে পেয়েছে। কান পাতল মধুও। একটানা একটা চাপা ঘর্ঘর শব্দ কানে এল। এই শব্দ মধুর অচেনা নয়। শুধু সে কেন, জঙ্গলে যারা থাকে, সকলেই চেনে এই শব্দকে। গাছ কাটার কলের করাত।          
মধুর চোয়াল শক্ত হল, শিরদাঁড়া হল টানটান। জঙ্গলে কাঠচোররা ঢুকেছে। ফিসফিস করে বলল সে, ‘চল মুংলি।’ 
।। তিন ।।
মুংলি বুঝি তার নির্দেশের অপেক্ষাতেই ছিল। নিঃশব্দে পা ফেলে এগিয়ে চলল। গভীর বন দিনের বেলাতেও অন্ধকার। কিছু দূর এগতেই চোখে পড়ল দৃশ্যটা। বুড়ো বটের তলায় মারাংবুরুর থান রয়েছে। খুব জাগ্রত দেবতা। পূর্ণিমা তিথিতে আশপাশের গ্রামের লোকেরা এখানে পুজো দেয়। অন্য সময়ে তেমন কেউ আসে না এদিকটায়। সেই সুযোগেই বেশ খানিকটা জায়গা লেপে-পুছে সাফ করা হয়েছে। তাঁবুও পড়েছে একটা। গাছ কাটার বড় যন্ত্র এসেছে। এক পাশে ডাঁই হয়ে পড়ে আছে শাল, সেগুন, শিশু গাছের বিশাল বিশাল কাণ্ড। একটা ট্রাক দাঁড় করানো 
কিছুটা দূরে।         
সব দেখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল মধু। গত ক’মাস ধরেই রাতারাতি জায়গায় জায়গায় জঙ্গল সাফ হয়ে যাচ্ছিল। সরকার থেকে গ্রামে গ্রামে ঘোষণা করে গিয়েছে, কোনও খবর পেলে ফরেস্ট অফিসে জানাতে। কিন্তু এই মুহূর্তে যেটা চিন্তার, সেটা হল কাঠচোররা দেবতার থান বুড়ো বটগাছটাকেই কাটছে।   
‘মুংলি!’ মৃদুস্বরে বলল মধু।   
মুংলি নিঃশব্দে মাথা নাড়ল। 
‘এদের আটকাতে হবে।’    
মনে মনে হিসেব করল মধু। ফরেস্ট অফিসে গিয়ে খবর দিতে গেলে তার আগেই দেবতার গাছ কাটা পড়বে। যা করার তাদেরই করতে হবে। সতর্কভাবে চারদিকে তকিয়ে দেখল সে। দুটো লোক গাছ কাটছে। ভেতরে আরও 
লোক থাকলেও থাকতে পারে। সেটুকু ঝুঁকি নিতেই হবে।         
ঝোলা থেকে একটা বেল বের করল মধু। মুংলির দিকে বাড়িয়ে দিল সেটা। মুংলির বয়স কম হলে কী হবে ভারী বুদ্ধিমান সে। কী করতে হবে বুঝে নিল। শুঁড় বাড়িয়ে বেলটা নিয়ে ছুড়ে দিল লোক দুটোর মধ্যে একজনের মাথা লক্ষ্য করে। আচমকা আঘাত পেয়ে লোকটা মাথা ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। কান্নার শব্দে তাঁবুর ভেতর থেকে আরও দু’জন বেরিয়ে এল। সতর্কভাবে দেখতে লাগল এদিক-ওদিকে। সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা বেল। তারপর আরও একটা। আরও একটা। লোকগুলো লাফাচ্ছে, ঝাঁপাচ্ছে, ভয়ে কান্নাকাটি জুড়েছে।        
মধু সাবধান হল। বেল ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুত ভেবে নিল পরবর্তী কর্তব্য। মুংলির কানের কাছে মুখ নিয়ে কিছু বলল। হাত বুলিয়ে দিল তার মাথায়। মুংলি কয়েক মুহূর্ত চুপ করে রইল। তারপর শুঁড়টাকে শূন্যে তুলে অদ্ভুত সুরে ডেকে উঠল। একবার, দু’বার, তিনবার। লোকগুলো এতক্ষণে দেখতে পেয়েছে তাদের। ভয়ের জায়গায় মুখের রেখায় ফুটে উঠেছে হিংস্রভাব। একজন ঢুকে গেল তাঁবুর ভেতরে। পরক্ষণে বেরিয়ে এল। হাতে ধরা কালো কুচকুচে অস্ত্রটাকে চেনে মধু। সিনেমায় দেখেছে। শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত নেমে গেল তার।    
মুংলি আবারও ডেকে উঠল, আগেরবারের চেয়েও উচ্চস্বরে। তারপর হঠাৎই মধুর নির্দেশের পরোয়া না করে বীরবিক্রমে ছুটে গেল লোকগুলোর দিকে।   
‘মুংলি, মুংলি... সাবধান,’ চেঁচিয়ে উঠল মধু। কিন্তু মুংলির কানে কোনও কথাই যেন ঢুকছে না। এগিয়ে গিয়ে শুঁড় দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল সামনের লোকটাকে। অন্য লোকটা পিস্তল তাক করে আছে, কিন্তু হাত কাঁপছে তার, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে মধু। মুংলি এবার ঘুরল ওর দিকে।   
দুম!  
প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠল বনভূমি। পাখিরা ওড়াউড়ি শুরু করেছে কলকল শব্দে। মধু চিৎকার করে উঠল, ‘মুংলি!’ 
গুলি মুংলির শরীর ছুঁয়ে গেছে। ঘাড়ের কাছ থেকে গলগলিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। প্রচণ্ড রাগে লোকটাকে শুঁড় দিয়ে তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলল মুংলি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড হুঙ্কারের শব্দে চমকে উঠল মধু। খুব কাছেই অনেক হাতি একসঙ্গে ডাকছে। মধুর মুখে হাসি ফুটল। মুংলির ডাকে কাজ হয়েছে। হাতির দল ঝোপজঙ্গল ভেঙে ছুটে আসছে এদিকেই। দেখতে দেখতে প্রায় ডজনখানেকেরও বেশি হাতি ঘিরে ফেলল জায়গাটা। লোকগুলো ভয়ে মাটির উপর বসে পড়েছে। দু’হাত জোড় করে কাঁপছে থরথর করে।   
‘চল মুংলি, আমাদের যেতে হবে।’   
।। চার ।।
চল্লিশ মিনিটের মধ্যে ফরেস্ট অফিসারদের গাড়ি এসে পৌঁছল মারাংবুরুর থানের কাছে। মধুর মুখে খবর পেয়ে ভিড় জমিয়েছে গ্রামের মানুষও। তারা দেখল এক অদ্ভুত দৃশ্য। চারজন কাঠচোর মাটির উপর থেবড়ে শুয়ে-বসে গোঙাচ্ছে। তাদের ঘিরে রেখেছে হাতির দল। কাঠচোরদের হাতকড়া পরাতে বেগ পেতে হল না। মুংলিকেও ওরা নিয়ে চলল পশু হাসপাতালে। ওর চিকিৎসা দরকার।         
মধু গিয়ে জড়িয়ে ধরল মুংলির গলা। দু’চোখে জল তার। মুংলিও শুঁড় বাড়িয়ে আদর করল মধুকে। গ্রামবাসীরাও সকলে খুব খুশি। তারা মধুকে কাঁধে তুলে নিয়েছে। মধু যেন আজ সত্যিই বনের রাজা হয়েছে। যেতে যেতে ফিরে তাকাল সে মারাংবুরুর থানের দিকে। মনে হল, দেবতার চোখ দুটোও যেন হাসছে তারই দিকে তাকিয়ে।
02nd  February, 2025
কিং কোহলি

লটা ২০০৬! ফিরোজ শাহ কোটলায় রনজি ট্রফিতে কর্ণাটকের মুখোমুখি দিল্লি। প্রথম ইনিংসে কর্ণাটকের রানের পাহাড়ে রীতিমতো কোণঠাসা হোম টিম। মাত্র ১৪ রানে চার উইকেট খুইয়ে ধুঁকছে দিল্লি। পাঁচে নামা চিকুর কাছে বড় সুযোগ নিজের জাত চেনানোর।
বিশদ

02nd  March, 2025
সূর্যের সাতকাহন
স্বরূপ কুলভী

রা ঝিলমিল রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে কার না ভালো লাগে! ছোট্ট ছোট্ট তারাগুলো কেমন মিটমিট করে আলো দেয়। কিন্তু সত্যিই কি তারারা এত ছোট। মোটেই নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
উড়তে উড়তে ঘুমায় যে পাখি
সোমা চক্রবর্তী

৪৯২। প্রথম সমুদ্রযাত্রায় চলেছেন কলম্বাস। আতলান্তিক মহাসাগর পেরিয়ে কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করার সময় অদ্ভুত সুন্দর কিছু পাখির সম্মুখীন হলেন। এমন পাখি তিনি এর আগে কখনও দেখেননি।
বিশদ

02nd  March, 2025
হরেকরকম হাতের কাজ: রঙিন টেবিল ল্যাম্প

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

23rd  February, 2025
মিসাইল ম্যান

স্বপ্ন সেটা নয় যেটা ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন হল সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না’—কথাটি বলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম। তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে দরিদ্র পরিবারের ছেলেটি ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, তিনি একদিন আকাশ ছোঁবেন।
বিশদ

23rd  February, 2025
সহায় বৃহস্পতি!

ধূমকেতু, উল্কার আঘাত থেকে পৃথিবীকে অনেকটাই রক্ষা করে বৃহস্পতি। কীভাবে  আমাদের রক্ষা করে এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী
বিশদ

16th  February, 2025
বিচারের কাঠগড়ায় গ্যালিলিও

পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা সব কিছু যুক্তি দিয়ে বুঝতে চান। নতুন কিছু জানার ইচ্ছা তাঁদের মধ্যে প্রবল থাকে। এই ধরনের বিপজ্জনক অনুসন্ধিৎসার জন্য অনেককে মূল্যও দিতে হয়েছে। এমনই এক ব্যক্তিত্ব ইতালির বিজ্ঞানী-দার্শনিক গ্যালিলিও গ্যালিলেই।
বিশদ

16th  February, 2025
দেশের প্রতি ভালোবাসা, ভাষার প্রতি ভালোবাসা

আগামী শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ইংরেজ আমলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে রবীন্দ্রনাথ ও উপেন্দ্রকিশোরের পরিবার কীভাবে এগিয়ে এসেছিলেন লিখলেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিশদ

16th  February, 2025
রঙিন ঝাঁঝরি

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  February, 2025
টাকার মিউজিয়ামে ঢুঁ

কিছু কিনতে গেলেই লাগে টাকা। ভারতের টাকার ইতিহাস আর বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সম্বন্ধে জানতে হলে যাওয়াই যায় 
কলকাতার আরবিআই মিউজিয়ামে। অভিনব এই সংগ্রহশালা ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

09th  February, 2025
বাগধারার রহস্য

বাংলা ভাষায় রয়েছে অসংখ্য বাগধারা বা প্রবাদ প্রবচন। আভিধানিক অর্থ নয়, বিশেষ অর্থে এগুলি ব্যবহার করা হয়। কীভাবে এল এই বাগধারাগুলি? তারই কারণ খোঁজা হল।
বিশদ

09th  February, 2025
ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী পুজো

আমাদের বাড়ির বাগানে একটা লটকানো গাছ ছিল। আমরা তার ফল কুড়িয়ে এনে শুকিয়ে রাখতুম। সরস্বতীপুজোর সময় কাপড় রং-করা হতো। শিউলি ফুলের বোঁটা শুকিয়েও সুন্দর বাসন্তী রং হতো।
বিশদ

02nd  February, 2025
প্রাণীজগতের কুম্ভকর্ণ

কী কুম্ভকর্ণ রে বাবা! ঘুমকাতুরেদের এমন ঠাট্টা মাঝেমধ্যেই সহ্য করতে হয়। রামায়ণের চরিত্র কুম্ভকর্ণ নাকি টানা ছ’মাস ঘুমোতেন। আর তারপর এক মাস জেগে থেকে ফের নিদ্রা। লঙ্কাধিপতি রাবণের ভাইয়ের এই কাহিনি তো সবারই জানা। প্রাণীকুলেও এমন অনেকেই রয়েছে, যারা কুম্ভকর্ণকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেলে দিতে পারে।
বিশদ

02nd  February, 2025
একনজরে
বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি করেছে, চলতি বছরের শেষেই বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসও জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। ...

মতের অমিল মিটিয়ে দিল এপিকে গরমিলের ঘটনা।  বিবাদ ভুলে এককাট্টা মৃণাল সরকার, গৌতম দাস, সুভাষ ভাওয়াল। দীর্ঘদিন পর জেলার সাংগঠনিক মিটিংয়ে গঙ্গারামপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে দেখা গেল তৃণমূলের সব গোষ্ঠীর নেতৃত্বকে। ...

আইসিএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অটো উল্টে মৃত্যু হল মায়ের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়ে ঘোষপাড়া রোডে। ...

২০১৫-র ২৬ মার্চ আর ২০২৫-এর ৪ মার্চ। এক দশকের ব্যবধান। দশ বছর আগে ওডিআই বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নেমেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্রিগেড। অভিশপ্ত সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৯৭- অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৫৫৮- ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়
১৮১৫- ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের মৃত্যু
১৮২২- ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়
১৮৩৩- অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন
১৯৯০- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩৯- সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৩ টাকা ৮৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৩২ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯০.২৬ টাকা ৯৩.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী ২৩/১৫ দিবা ৩/১৭। ভরণী নক্ষত্র ৫১/৩৮ রাত্রি ২/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৫৯/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৭/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৯ গতে ১০/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৩ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৩/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।
১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী  রাত্রি ৭/৫৫। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৮/৫২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ১/৪০ গতে ৩/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
৩ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন রাচীন রবীন্দ্র

10:43:00 PM

ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে বীরভূমের লাভপুরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ দম্পতি

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল নিউজিল্যান্ড

10:22:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): সেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১২/৯ (৫০ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:21:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): হাফসেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩/৯ (৪৬.৪ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:05:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): ১৬ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৬/৯ (৪৫.৩ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

09:58:00 PM